যশোরের অভয়নগর উপজেলায় মুরাদ হোসেন (২৮) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মধ্য তরফদারপাড়া এলাকায় স্বপ্ন ভিলা নামে একটি বাড়ির সামনে তাকে কোপানো হয়। তিনি ওই এলাকার সাহাবুল ইসলামের ছেলে ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার মধ্যরাতে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সালামের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় মুরাদ হোসেন (২৮) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মধ্য তরফদারপাড়া এলাকায় স্বপ্ন ভিলা নামে একটি বাড়ির সামনে তাকে কোপানো হয়। তিনি ওই এলাকার সাহাবুল ইসলামের ছেলে ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার মধ্যরাতে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সালামের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগ। ঘটনায় জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয় মিছিল ও সমাবেশ থেকে। সোমবার বিকেলে রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছলে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা লাশ নিয়ে মিছিল বের করে। নওয়াপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে নুরবাগ এলাকায় এসে মিছিলটি শেষ হয়।এ সময় নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল আহমেদ বাবুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রসেনজিৎ দাস সনজিত, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট রওশন কবির টুটুল, আহাদুর রহমান মামুন, উপজেলা যুবলীগ সদস্য শেখ ওলিয়ার রহমান, শেখ সম্রাট, উপজেলা তরুণলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বকুল, উপজেলা তরুণলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, ছাত্রলীগ নেতা শেখ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
ওই যুবলীগ নেতার বাবা সাহাবুল ইসলাম বলেন, মুরাদ নওয়াপাড়া বাজার থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির কাছাকাছি স্বপ্ন ভিলার সামনে পৌঁছলে ওৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে পৌঁছলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে যে, তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করতে হবে।
অভয়নগর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর তালিম হোসেন জানান, মুরাদ নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে দলীয় কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন মধ্যরাতে একদল যুবক রামদা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে শেখ আব্দুস সালাম কাউন্সিলরের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত কয়েক জনের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের আটক করতে অভিযান চলছে। নিহতের পরিবার এখনও কোনো মামলা করেনি। তবে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।ঘটনার পর ওই রাতে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সালামের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।