আই আই ইউসিতে ২০১৯ সালের পর নিয়োগ প্রাপ্তদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তানভীরুল ইসলাম প্রকাশিত: ৭ আগস্ট , ২০২৪ ১৭:৫০ আপডেট: ৭ আগস্ট , ২০২৪ ১৭:৫০ পিএম
আই আই ইউসিতে ২০১৯ সালের পর  নিয়োগ প্রাপ্তদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
এরপর থকে ক্যাম্পাসের স্বনামধন্য শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে থাকে। এর বিপরীতে কোন প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে নিজ দলের কর্মীদেরকে নিয়োগ দিতে থাকে। আগের শিক্ষকদের লাঞ্চিত ও বঞ্চিত করতে থাকে। নিজ অনুসারীদের প্রমোশন দিলেও অন্যদের প্রাপ্য প্রমোশনও আটকে দেয়। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে লাখ লাখ টাকা পকেটে ভরতে থাকে।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আই আই ইউ সি)কে ২০১৯ সালে সম্পুর্ণ অবৈধ ভাবে দখল করে নেয় আবু রেজা মো: নদভী। দখল নেয়ার পর থেকে রাতারাতি বোর্ড অফ ট্রাস্ট(বিওটি) ভেঙে নিজেই বিওটির চেয়ারম্যানের পদ দখল করে নেয়। 

এরপর থকে ক্যাম্পাসের স্বনামধন্য শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে থাকে। এর বিপরীতে কোন প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে নিজ দলের কর্মীদেরকে নিয়োগ দিতে থাকে। আগের শিক্ষকদের লাঞ্চিত ও বঞ্চিত করতে থাকে। নিজ অনুসারীদের প্রমোশন দিলেও অন্যদের প্রাপ্য প্রমোশনও আটকে দেয়। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে লাখ লাখ টাকা পকেটে ভরতে থাকে। 

অন্যদিকে নিজের স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে ফিমেল ক্যাম্পাসের চীপ বানিয়ে সেখানেও ভর্তি বানিজ্য ও নিয়োগ বানিজ্য চালাতে থাকে। শিক্ষক নিয়োগে ৮-১০ লাখ টাকা এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগে ৫-৭ লাখ টাকা করে নিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পাসের আগের শিক্ষকদের অন্যতম দাবি তারা কোন  অবৈধভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে চায়না।

এই ছাড়াও যেসব শিক্ষক নদভী গংদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন, অন্যদের লাঞ্চিত ও বঞ্চিত করেছেন নিয়োগ বানিজ্য করেছেন তাদেরকেও ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে ইটিই ডিপার্টমেন্টের জিয়া, আইন বিভাগের নাসির, বিবিএর মাহি,আফজাল, ফরেইন এফেয়ার্স ডিভিশনের এরশাদ, মাহফুজসহ আরো বেশ কিছু শিক্ষক কর্মকর্তার নাম রয়েছে। ক্যাম্পাসের  সকল কার্যক্রম পূর্ববর্তী ট্রাস্টের আন্ডারেই এখন থেকে চলবে।  তবে শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট বক্তব্য নতুন ভাবে ট্রাস্ট সাজাতে হবে। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo