চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। এরা চীন ভারত রাশিয়ার সরকার। তারা এখন প্রশাসন যন্ত্রের ওপর ভর করে টিকে আছে। তারা এক যুগেও সাগর রুনী হত্যার চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ ১০৫ বার পিছিয়েছে। অথচ তারা আইনের শাসন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে। অন্যদিকে ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে লুটপাটের মেতে উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলছে। এ ভরা মৌসুমে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণেই বিক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ ডামি ভোট বর্জন করেছে। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক লাশে পরিণত হয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ, গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ভারত বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে নুর আহম্মেদ সড়ক, কাজীর দেউরী মোড় ও কাঁচা বাজার এলাকায় স্থানীয় দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলন চলছে, চলবে। জনগণের সংগ্রামী ঐক্য ও বীরত্বকে সঙ্গে নিয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করে এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হবে। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই অনির্বাচিত সরকার ১৪ সালে একতরফা নির্বাচন, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে আর ২৪ সালে প্রহসনের ডামি নির্বাচন করেছে। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ এই ভোট বর্জন করেছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মানে না। তাই বর্তমান অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। আবু সুফিয়ান বলেন, আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ গতিতে নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আর্তনাদ করছে। ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য নেই। কারণ সরকার সমর্থকরাই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মো. খান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা মো. ইদ্রিস আলী, রন্জিত বড়ূয়া, ইউছুপ শিকদার, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, আলাউদ্দিন আলী নুর, মো. ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, সাদেকুর রহমান রিপন, মহানগর মহিলাদলের সি. সহ সভাপতি ছকিনা বেগম, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান, সহ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, মো. সালাউদ্দিন, এম এ জলিল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ রিপন, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ রাসেল, মহসিন কবির আপেল, আলিফ উদ্দিন রুবেল, মো. মিল্টন, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, মহানগর ছাত্রদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দীন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান মিটু, মো. আনাস প্রমূখ।