কক্সবাজারের খারাংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী নুরুল আলম (৪০) আত্মহত্যা করেছেন।
কক্সবাজারের খারাংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী নুরুল আলম (৪০) আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে তিনি লিখে গেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চাকরিই আমার জন্য দায়ী।” তার এই চিরকুটে লেখা বার্তা সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।নুরুল আলম টেকনাফের ৮নম্বর ওয়ার্ড় এর খারাংখালীর নাছর পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি ওই এলাকার আবু বকর-এর ছেলে।পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নুরুল দীর্ঘদিন ধরে তার চাকরি নিয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। অতিরিক্ত কাজের বোঝা, স্কুলের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের চাপ এবং পারিবারিক জীবনের জটিলতায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই চাপেই তিনি চূড়ান্তভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।পরিবারের প্রতিক্রিয়া: নুরুল আলমের পরিবার তার মৃত্যুর জন্য স্কুলের চাকরির চাপকেই দায়ী করেছেন। তারা জানান, নুরুল আলম প্রায়ই বলতেন যে, দপ্তরীর চাকরির কারণে তার মানসিক প্রশান্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।স্থানীয়দের বক্তব্য: এলাকাবাসী নুরুল আলমের এই অকালমৃত্যুতে শোকাহত। তারা জানান, নুরুল একজন শান্ত স্বভাবের ও সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। তার প্রতি এই অতিরিক্ত কাজের চাপ তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে, যা তাকে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।স্থানীয়রা মনে করেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীসহ বিভিন্ন কর্মচারীদের ওপর অতিরিক্ত কাজের চাপ কমাতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সহযোগিতা ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।নুরুল আলমের এই করুণ মৃত্যু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে—চাকরির মান।