শেরপুরের নকলায় ঈদে শশুর বাড়িতে ঘুরতে এসে আব্দুল রহিম (৪৫) নামের এক জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শেরপুরের নকলায় ঈদে শশুর বাড়িতে ঘুরতে এসে আব্দুল রহিম (৪৫) নামের এক জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোর সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে। রহিম নকলা পৌরসভাধীন জালাপুর গ্রামের মৃত হাবিল মিয়ার পুত্র।
স্থানীয়সূত্র ও পুলিশ জানায়, নকলা পৌরসভার আব্দুল রহিম পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। ঢাকায় ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির গাড়ী চালাই। ৫ মাস পূর্বে স্ট্রোক করার কারনে সে আর গাড়ী চালায় না।বর্তমান স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা শহরের চেরাগআলীতে বসবাস করে। তার স্ত্রী নাছিমা পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পুরো সংসার চালায়। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে সবাই। নাছিমা চলে যায় বাপের বাড়ি পাঠাকাটার নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে এবং আব্দুল রহিম চলে যায় নিজের বাড়ি নকলা জালালপুর গ্রামে। ঈদের দিন অনুমানিক রাত ১২টার দিকে রহিম শ্বশুরবাড়ি নামাকৈয়াকুড়ীতে বেড়াতে যায়। আজ সকালে শ্বশুর বাড়ির পাশে কড়ইগাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নকলা থানার (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এ ঘটনায় আমরা রবিবার ভোরে পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রাম থেকে আব্দুল রহিম এর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুরুতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।