উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ করতে হবে-বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী , ২০২৫ ২০:১৮ আপডেট: ২৭ জানুয়ারী , ২০২৫ ২০:১৮ পিএম
উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ করতে হবে-বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার বলেছেন, মানবপাচার একটি ঘৃণিত অপরাধ। এই কাজের প্রলোভন ও অক্ষম মানুষকে বিদেশে কাজের নামে পাচার করা হয়।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার বলেছেন, মানবপাচার একটি ঘৃণিত অপরাধ। এই কাজের প্রলোভন ও অক্ষম মানুষকে বিদেশে কাজের নামে পাচার করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার ধস পাচারের অন্যতম কারন। পাচার বন্ধের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এজন্য দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগ দিতে হবে। তারা শিক্ষার মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক মানব পাচার প্রতিরোধে কমিটি গুলো সচল করতে হবে। কমিটি নেতৃবৃন্দ যেন মানব পাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সাথে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রোববার সকালে যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষ অত্রিমাক্ষরে অনুষ্ঠিত মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সহায়তায় জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামো বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনবল বিভাগের আয়োজনের বিভাগীয় পর্যায়ের শেয়ারিং ও ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।  প্রধান অতিথি আরো বলেন, যারা স্বেচ্ছায় মানব পাচার হয়ে যায়, সেটা রোধ করতে চাকরির ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিবেচনা করনতে হবে। যারা সম্ভাব্য পাচারের ঝুঁকিতে আছেন এমন জনগোষ্ঠিকে কর্মমুখি প্রশিক্ষণসহ নানা রকমের ট্রেনিং ও আর্থিক ও মানষিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে আত্ননির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে হবে।  দেশের বেকার যুবক-যুবতিদের আত্নকর্মসংস্থান এবং যুক্তিসংগত মুজুরী কাঠামো প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিতেহবে। প্রযুক্তি জ্ঞান নির্ভর সমাজ গঠন করে পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। পাচারের শিকার নারী ও পুরুষ এবং শিশুদের মানবিক, আর্থিক ও জ্ঞান ভিত্তিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সমাজের মইেন স্ট্রিমে সংযুক্ত করতে হবে। পরিস্থিতির শিকার এসব ভিকটিমকে সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার নিশ্চয়তা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মুহঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার, মাগুরার জেরা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম, কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক শাহারিয়ার হাসান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপপরিচালক আনিসুর রহমান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাবেক সহসভাপতি নুর ইসলাম, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, আহছানিয়া মিশনের শেলটার হোম ইনচার্জ শাহানাজ পারভীন প্রমুখ। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক  , যশোরের অতিরিক্তপুলিশ সুপার নূরআলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিক নাজিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় গত বছরখুলনাবিভাগের ১০ জেলায় মানব পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় ২৩৮টি মামলা হয়েছে। এই সময়ে ৯২টি মামলারনিষ্পত্তিহয়েছে। যার মধ্যে ৫টি মামলায় ৯ আসামীর সাজা নিশ্চিত করা গেছে। সভায় জানানো হয় এ পর্যন্ত এই বিভাগেনারী ও শিশুপাচারেরঘটনায় ৮১১টি মামলা বিচারাধীন আছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo