কসবায় নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি, হয়নি অভিযোগের তদন্ত

রাসেল মিয়া প্রকাশিত: ৮ মে , ২০২৪ ১০:২০ আপডেট: ৮ মে , ২০২৪ ১০:২০ এএম
কসবায় নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি,  হয়নি অভিযোগের তদন্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বদলি আদেশে বদলির কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বদলি আদেশে বদলির কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

ধারণা করা হচ্ছে উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যালট পেপারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতীক ভুল থাকার ঘটনায় তাঁকে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি–অনিয়মের একটি অভিযোগের তদন্ত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বদলির আদেশ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। 

গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে ব্যালট পেপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদের প্রতীক অটোরিকশার বদলে প্যাডেল চালিত তিন চাকার রিকশা ছাপা হয়। এ কারণে ভোটগ্রহণের দিন দুপুরে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। আগামী ২৬ মে চেয়ারম্যান পদে আবার নির্বাচন হবে ওই ইউনিয়নে।

সূত্র জানায়, ব্যালট পেপার ছাপার প্রক্রিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দেখার দায়িত্ব ছিল। সেটি না করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। নতুন করে আবারো নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৮০/৯০ লাখ টাকার মতো খরচ হবে।

এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ২৮ এপ্রিল কসবা পৌর এলাকার খারপাড়ার ইসমাইল আহম্মেদ (ইমন) কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,  উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাদকাসক্ত এবং সরকারি ডাকবাংলোয় বসে মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এছাড়াও উপজেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক পরিচ্ছন্নকর্মী মোজাম্মেল সরকারের নেতৃত্বাধীন দালাল চক্রের মাধ্যমে নতুন ভোটার করা, সংশোধন ও ভোট স্থানান্তরসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ঘটিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিতের বিরুদ্ধে। অফিসের কোনো কর্মচারী অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে অমিত তাঁর নিকটাত্মীয় নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের মাধ্যমে বদলি বা চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিতেন।

এসব অভিযোগের তদন্ত ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে অভিযোগের তদন্ত হওয়ার আগেই অমিত কুমার দাশের বদলির আদেশ হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততার কারণে এ বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। নানা অভিযোগ থাকলেও অমিত কুমার দাশকে ভালো জায়গাতেই বদলি করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদরে বদলি করা হয়েছে তাঁকে। ৯ মর মধ্যে এই কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে বদলি আদেশে। আর মুন্সিগঞ্জ সদর নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামকে কসবায় পদায়ন করা হয়েছে।’

অভিযোগ বা বদলির বিষয়ে জানতে অমিত কুমার দাশের মোবাইলফোন নম্বরে কল করে সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo