ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় শিশু হত্যার দায়ে ইয়াসিন জোমাদ্দার (২০) নামে এক যুবকের ফাঁসি ও রেহেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসুদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় শাহাদাত হোসেন নামে অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। এর আগে শিশু আদালত থেকে মামলার তিন শিশু আসামি খালাস পায়। রায় ঘোষণার সময় দন্ড প্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় শিশু হত্যার দায়ে ইয়াসিন জোমাদ্দার (২০) নামে এক যুবকের ফাঁসি ও রেহেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসুদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় শাহাদাত হোসেন নামে অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। এর আগে শিশু আদালত থেকে মামলার তিন শিশু আসামি খালাস পায়। রায় ঘোষণার সময় দন্ড প্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঠালিয়া উপজেলার জোরখালী গ্রামের শাহিন জোমাদ্দারের মেয়ে মাদরাসায় যাতায়াতের পথে প্রতিবেশী ইয়াসিন জোমাদ্দার উত্যক্ত করতো। এতে বাঁধা দিতো শাহিনের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান (৮)। এতে মেহেদী হাসানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ইয়াসিন। ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট বিকেলে বাসা থেকে বের হলে শিশু মেহেদী হাসান নিখোঁজ হয়। পরে ৩১ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় আনসার আলির বাড়ির বাগানে ধারলো অস্ত্রদিয়ে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় শিশু মেহেদী হাসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩১ আগস্ট মেহেদী হাসানের বাবা শাহিন জমাদ্দার প্রতিবেশী তিন শিশুসহ ছয় জনকে আসামি করে কাঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। ২০১৭ সালে ৩০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ঝালকাঠি সিআইডির এসআই সিদ্দিকুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রায় ঘোষণা দেন। রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি আ.স.ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু ও আসামিদের পক্ষে নাসির উদ্দিন কবির মামলা পরিচালনা করেন। এই মামলার আসামি মো. শাহাদাত হোসেন এবং অপর তিন শিশু আসামিকে শিশু আদালত থেকে খালাস প্রদান করা হয়।