লালমনিহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় রুহুল আমিন নামে নৌবাহিনীতে কর্মরত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট ও জমি বে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় রাসু মিয়া বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।আজ ৯নভেম্বর ( শনিবার) সকাল ১১ ঘটিকার সময় উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের চাপারতল গোরল বিলে এই ঘটনা ঘটে।
লালমনিহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় রুহুল আমিন নামে নৌবাহিনীতে কর্মরত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট ও জমি বে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় রাসু মিয়া বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।আজ ৯নভেম্বর ( শনিবার) সকাল ১১ ঘটিকার সময় উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের চাপারতল গোরল বিলে এই ঘটনা ঘটে।সরে জমিনে জানা যায় যে, গোড়ল বিলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ এর ক্রয়কৃত সম্পত্তির কিছু অংশ রাসু মিয়া নামের এক ব্যক্তি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য চাষ করে আসছেন। আজ হঠাৎ করে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে রাসু মিয়ার মৎস্য খামারে হামলা চালায়, মৎসক আমাদের ঘর দুয়ার ভাঙচুর করে, ঘরে থাকা মাছের খাদ্যদ্রব্য লুটপাট করে জমি বেদখলের করেন।বাদি রাসু মিয়া বলেন, কালীগঞ্জ থানাধীন গোড়ল বিলে মোঃ মাহবুবুজ্জামান আহম্মেদ এর স্বনামীয় একটি মাছের প্রজেক্ট ভাড়া লইয়া প্রায় ০২ বছর পূর্ব হইতে মাছের প্রজেক্টে দেখাশোনা করিয়া আসিতেছি। উক্ত মাছের প্রজেক্টে দেখা শোনা করাকালে বিবাদী ১। মোঃ রুহুল আমিন (৩৫), ২। মোঃ সুলতান (৪২), ৩। মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৮), ৪। মোঃ কাশেম মুন্সি (৬২) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫জন বিবাদী অদ্য ইং- ০৯/১১/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাঠি, সোটা, লোহার রড হাতে লইয়া বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া আমার ভাড়াকৃত মাছের প্রজেক্টে অনধিকার প্রবেশ করতঃ ৪নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগন আমার মাছের প্রজেক্টের দক্ষিণ পার্শ্বে মাঝের খাদ্য রাখার টিনের ঘরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া লাঠি সোটা দিয়া উক্ত ঘরের টাটি বেড়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫৫,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং উক্ত ঘরে থাকা মাছের খাদ্য ৪০মন ফিট, মূল্য অনুমান ৫০,০০০/- টাকা চুরি করিয়া ৪নং বিবাদীর বাড়ীতে লইয়া যায়। এতে আমি বাধা প্রদান করিলে তারা আমাকে প্রাণনাথের হুমকি দেয়।নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, জমিটি দীর্ঘদিন থেকে রাসু মিয়া লিজ নিয়ে চাষাবাদ করেন। সাবেক চেয়ারম্যান জমিটি ক্রয় করেন মুল মালিকের কাছে। মুল মালিক সহ রুহুল আমিন গংদের কি সমস্যা সেটা আমার জানা নেই।বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত পরিচয়দানকারী রুহুল আমিন জানান জমিটি আমাদের ছিল ভুলবশস অন্যের নামে রেকর্ড হয়। পরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জমিটি তার নিকট ক্রয় করেন। আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বা আদালতে না গিয়ে সরকারি চাকুরীজীবি হওয়া সত্তেও কেন আপনি বে আইনিভাবে এসব করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রশাসনের সকলে আমাকে জমিটি দখল করতে বলেন। কারা দখল করতে বলেন নাম জানতে চাইলে তিনি তা প্রকাশ করেননি।এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি এরশাদ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে কালিগঞ্জ সানা পুলিশের একটি টিম তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের পর সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।