গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা ।

মোঃ আব্দুল মোতালেব প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর , ২০২৪ ১৭:২৪ আপডেট: ১৩ নভেম্বর , ২০২৪ ১৭:২৪ পিএম
গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা ।
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও চাপ নেই। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে বলেছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও চাপ নেই। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে বলেছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামতথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামতথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেনসঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেনছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেনতাদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বিগত সরকারের সমালোচনা করে বলেনওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে।’ উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারের গুমদুর্নীতিসহ সব অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।উপদেষ্টা গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার করা হবে।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় পত্রিকার সম্পাদকরা বলেনবর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেইযা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। মতবিনিময় সভায় দাবি জানানো হয় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নের।মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানাচলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিনবাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo