মরদেহেটি সাদা কাপড়ে ঢাকা। চারপাশে মাছি ভনভন করছে। মাঝে মাঝে উৎসুক দু একজন কাছে গিয়ে কাড়প সরিয়ে মরদেহের মুখ দেখে আসছে। তবে কেউ নাম-পরিচয় বলতে পারছেন না। শুক্রবার বিকালে এই দৃশ্যের দেখা মিলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১ টায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহের পড়নে ছিল হালকা কাঠালি রঙের ফতুয়া ও লুঙ্গি। বয়স আনুমানিক ৬৫। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিটি গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকতেন। কারো সাথে তিনি কথা বলতেন না। স্থানীয় বাসিন্দা ও গৌরীপুর রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশও নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে পারেন নি।
গত ২০ অক্টোবর গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে বৃদ্ধ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখে গৌরীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ২৭ অক্টোবর শুক্রবার বৃদ্ধ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে মৃত্যুর পর অজ্ঞাত পরিচয়ের বৃদ্ধের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতালার বারান্দায় পড়ে আছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বৃদ্ধের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা যায় নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহজাবিন বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের বৃদ্ধ ব্যক্তিকে কথা বলতে পারতেন না। তিনি শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত পার্টি ওই বৃদ্ধকে চেতনানাশক প্রয়োগ করেছেন। উনার মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
গৌরীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন,বৃদ্ধ লোকটি কিভাবে গৌরীপুর জংশনে এলেন আমরা বলতে পারছি না। গত ২০ অক্টোবর শারীরিক ভাবে দুর্বল বৃদ্ধকে উদ্ধার করে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। আজ বৃদ্ধ লোকটি মারা গেছে। গৌরীপুর থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছে। আমরা চারিদিকে খোঁজ লাগিয়েছি। বৃদ্ধের মরদেহের নাম ও পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আপাতত মরদেহ হাসপাতালে রাখা আছে।