চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে৷ প্রথম দফা হামলা ও হুমকির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করার পর রাতে সংখ্যালঘু দুটি পরিবারের বসতবাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা বোমাবাজি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় থানায়।তবে পুলিশ বলছে কোন প্রকার বোমাবাজির কোন অভিযোগ তারা পায়নি৷ অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় যুবলীগ নেতা সেলিমের দাবি তিনি সরল বিশ্বাসে কোন প্রকার ডকুমেন্ট ছাড়াই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন সেই জমিতে ৷
চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে৷ প্রথম দফা হামলা ও হুমকির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করার পর রাতে সংখ্যালঘু দুটি পরিবারের বসতবাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা বোমাবাজি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় থানায়।তবে পুলিশ বলছে কোন প্রকার বোমাবাজির কোন অভিযোগ তারা পায়নি৷ অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় যুবলীগ নেতা সেলিমের দাবি তিনি সরল বিশ্বাসে কোন প্রকার ডকুমেন্ট ছাড়াই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন সেই জমিতে ৷
চট্টগ্রামের নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলীর প্রখ্যাত জমিদার প্রাণহরি দাশের বসত ভিটায় গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে তাঁর উত্তরাধিকারিরা নিজেদের মধ্যে জমির পরিমাপ করতে যায়। এসময় যুবলীগ নেতা সেলিমের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক তাদের জায়গা পরিমাপ করতে বাঁধা দেয়। জমির মালিক উত্তম কুমার দাশ বলেন, আমাদের জায়গা আমরা পারিবারিক ভাবে নিজেদের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করতে মাপ-ঝোঁক,বিবিধ সাজেশন নিয়ে করছিলাম৷ হঠাৎ সেলিম আচমকা এসে আমাদের মা-পঝোঁক করতে বাঁধা দেয়৷ এসময় সেলিমের সাথে আশপাশের এলাকার কিছু লোক আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। সেলিমের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ওরা আমার ছেলে বাসুদেবকে মারতে উদ্যত হয়। এরপর আবার ২য় দফা সেলিম আবারো আমাদের বসতবাড়িতে দলবল নিয়ে এসে নানা প্রকার হুমকি ধমকি দিয়ে যায়৷
ভুক্তভোগী পরিবারটির প্রতিবেশী অলক কুমার বলেন, আমরা দুই পরিবারের জমির মাঝে সীমানা নির্ধারিত করতে নিজেরাই আমিন এনে জমির পরিমাপ করছিলাম। এই জমিতে সেলিমের কোন সত্ত্ব কিংবা মালিকানা না থাকার পরেও সে লোকজন নিয়ে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়৷ পরে গত ৩০ এপ্রিল রাত ৪টা নাগাদ কে বা কাহারা আমাদের বসতবাড়ি ও এর আশেপাশে বিপুল পরিমাণ বোমাবাজি করে৷ আমরা সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায়৷ পরে ভোরের আলোতে আমরা বাড়ির আশপাশে বেশ কিছু পোড়া দাগ দেখতে পাই এবং অবিস্ফোরিত অবস্থায় ৪টি পটকা উদ্ধার করি৷ আমরা ধরনা করছি আমাদের ভয়ভীতি দেখাতে সেলিম তার লোকজন নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
২৮ এপ্রিলের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন৷
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম বলেন,"বিগত এক বছর আগে উপস্থিতি একাধিক সাক্ষিদের সামনে আমি কয়েক দফায় উত্তম কুমার দাশকে ১৩ লক্ষ টাকা দিয়েছি। এছাড়া এই জমির জন্য অন্যান্য খাতে আরো ১৯ লক্ষ টাকা আমি ব্যয় করেছি৷ সেদিন আমি জানতে পেরেছি ওরা জমিটি অন্য আরেকজনকে বিক্রি করে দিচ্ছে তাই আমি সেটির বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছি। যদি কোন ভিডিও বা ফুটেজে আমি বা আমার সাথের কেউ উনাদের পরিবারের কাউকে মারা তো দূরের কথা গালাগাল দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে যে শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নেবো৷" গত ২৯ এপ্রিল এই সংক্রান্ত বিষয়ে সেলিমও পাহাড়তলী থানায় জিডি করেছেন বলে জানান।
এই বিষয়ে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, ২৮ তারিখ এক নারী থানায় একটি জিডি করেছিলেন। ৩০ তারিখ রাতে আমার থানা এলাকার কোথাও কোন বোমাবাজির খবর আমার কাছে নেই এবং কেউ আমাকে এই বিষয়ে অভিযোগ করেনি। তবে দুটি পক্ষই নিজেদের অভিযোগের বিষয়ে থানায় দুটি জিডি করেছেন। আমাদের থানার অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে। সার্বিক বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।