গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তির হাট ও কুসুমপুর এলাকায় আমার একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়, নির্বাচনের প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় প্রচার গাড়ির নিরীহ চালকের উপর হামলাও করে তারা। এমনকি আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাসা বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা হুমকি প্রদর্শন করে
চট্টগ্রাম-১২(পটিয়া) সংসদীয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার অনুসারীদের সহিংস আচরণ ও হামলা ভাংচুর, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা এবং গাড়ি বহরে হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম পটিয়া -১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।
২১ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইন্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন গত ২০ ডিসেম্বর সোমবার পটিয়া হল ওকে নাম ক একটি কমিউনিটি সেন্টারে অফিস উদ্বোধন সংবাদ সম্মেলন ও আমার সমর্থনে একটি কর্মী সমাবেশ ছিল।ওই সভায় যাওয়ার পথে আমার কর্মী সমাপ্তিদের উপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহারের অনুসারীরা হামলা চালায় এবং রাতে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তির হাট ও কুসুমপুর এলাকায় আমার একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়, নির্বাচনের প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় প্রচার গাড়ির নিরীহ চালকের উপর হামলাও করে তারা। এমনকি আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাসা বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা হুমকি প্রদর্শন করে। আপনারা জানেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুমতি দিয়েছেন এবং আমি মনে করি এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অন্যতম সেরা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। মাঠে জনগণের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তি বাছায়ের এমন শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস আর আসেনি। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে এবং প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই করতে এই সুযোগ করে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই পটিয়ার আরেকজন প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনশ্রুতি আছে যে একটি বিশেষ ভুমি ও মিডিয়া দস্যুর মনোনীত মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী যে কিনা বিগত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী প্রয়াত দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ মরহুম মুছলেম উদ্দিন চৌধুরী বিরোধীতা করার কারনে দল থেকে বহিষ্কার হয়ে ছিলেন।সেই ব্যাক্তি আজ নৌকার মুখোশধারী স্বজন সেজে প্রকৃত দল প্রেমিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রকৃত সৈনিক এলাকায় আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের শুরুতেই আমার বিরুদ্ধে মাটে নেমে নিজের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে।
আপনারা জানেন স্থানীয় নেতা কর্মীদের দলের সাধারণ সম্পাদক বারবার বলেছেন যার সাথে খুশি তার সাথে কাজ করতে এখানে কোন বাধা নিষেধ বা দল থেকে কোন নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হবে না। আমি মনে করি ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য এই কৌশল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ক্রীড়া সংগঠক থেকে রাজনীতির মাঠে এনেছেন। আমাকে দিয়ে পটিয়া বাসীর ১৫ বছর সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। এবারও তিনি সকলের মত আমাকে অনুমতি দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রিয়তা যাচাই করার। নির্বাচনী কৌশল হিসেবে অনেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। নির্বাচন করার জন্য পটিয়ার সাধারণ ভোটার এবং মানুষও আমাকে অনুরোধ করেন। পটিয়ার সাধারণ মানুষের ইচ্ছার প্রতি ও আমি সম্মান জানিয়েছি। ঈগল প্রতিকে নির্বাচিত হয়ে সে জয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সুষ্ট,অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর নির্বাচনে বিশ্বাস করি। আমি কিভাবে বিশ্বাস করি সুষ্ঠু নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি কারণ আপনারা জাতির চোখ জাতির বিবেক আপনাদের কাছে অনুরোধ পটিয়ায় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ,ভয়হীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে যদি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পাশাপাশি আপনারা ভোটের দিন ও তার আগে শক্ত অবস্থানে মাঠে থাকেন। আমি সহিংসতা মুক্ত ও বাধা মুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যম ও প্রশাসনের সহায়তা চাই।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী চৌধুরী, বাবু দেবব্রত দাস, বাবু বিজন চক্রবর্তী, এডভোকেট মোর্শেদ চৌধুরী, ওমর সুলতান চৌধুরী, নাসির আহমেদ, আবু সালেহ চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম সিরু, আব্দুল আল হারুন ও আলমগীর খালেদ প্রমুখ।