চলছে শেষ সময়ের রঙের আঁচড়
ভোলায় ১শ’ ৬টি মন্ডপে দুর্গোৎসব
আর মাত্র কয়দিন। আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হয়েছ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। এরইমধ্যে প্রতিমা তৈরি কাজ শেষ করেছেন মৃৎশিল্পীরা। এখন চলছে রং-তুলির কাজ। এ কাজে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
জানা গেছে, ভোলার বিভিন্ন পূজা মন্ডবে গিয়ে দেখা গেছে, আগামী ৯ অক্টোবর বুধবার মহা ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ভোলার সাত উপজেলার ১০৬টি পূজা মÐবে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পূজা। এরইমধ্যে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করেছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। রং-তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন দেবি দুর্গার সৌন্দর্য।
মৃৎশিল্পী বিষ্ণু চন্দ্র পাল জানান, তিনি ও তার সঙ্গীরা মিলে এ বছর ১২টি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন। মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ আরও আগেই শেষ হয়েছে। বর্তমানে তারা রং-তুলির কাজ করছেন। বিভিন্ন রং দিয়ে তারা প্রতিমার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছেন। এতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী ৯ অক্টোবরের আগেই তারা সব কাজ শেষ করবেন।
অনিল কুমার পাল ও নির্মল পাল জানান, তারা আগে প্রতিমা তৈরি করে ভালো টাকা আয় করতেন। কিন্তু বর্তমানে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন কিছুই থাকে না। প্রতিমা তৈরির কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানেন না বলে এটিই করে যাচ্ছেন।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার সাহা জানান, এ বছর ভোলার সাত উপজেলায় ১০৬টি মÐবে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ভোলা সদরে ২৭টি, বোরহানউদ্দিনে ২০টি, দৌলতখানে ৮টি, লালমোহনে ১৬টি, তজুমদ্দিনে ১৫টি, চরফ্যাশনে ৯টি ও মনপুরা উপজেলায় ১১টি মন্ডবে পূজা হবে। বর্তমানে মন্ডব গুলোতে রং, প্যান্ডেল এবং আলোকসজ্জার কাজ চলছে।
ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, দুর্গা পূজা উপলক্ষে জেলার মÐবগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। এছাড়াও পূজা মন্ডব গুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সার্বক্ষণিক পুলিশ মনিটরিং করবে। সবমিলে এ বছর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে একটি সুন্দর পরিবেশে দুর্গা পূজা উদযাপন করতে পারে সেজন্য তারা কাজ করছে।