আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে চাটখিল পৌর শহরের বদলকোট রোডে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এই মতবিনিময় করেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে চাটখিল পৌর শহরের বদলকোট রোডে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এই মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সিদ্ধান্ত নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রামে-গ্রামে গণসংযোগ করে চলছেন।
তিনি আরো বলেন, আজ আমি আপনাদের মাধ্যেমে চাটখিল উপজেলা বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমার নির্বাচনে পদপ্রার্থী হওয়ার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করছি। তিনি তার দীর্ঘ ৩৩ বছরের রাজনীতির অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ছাত্রলীগের কলেজ শাখা ও উপজেলা শাখার সভাপতি, যুবলীগের উপজেলা আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চার দলীয় জোট সরকারের শাসনামলে তিনি বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্বে ১৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানি করা হয়েছে। এসব মামলায় তিনি ৬ বার কারাবরণ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ৬টি মামলা সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করে নিলেও বাকী মামলা গুলো তিনি নিজেই বহু অর্থ ও সময় ব্যয় করে শেষ করেছেন। তিনি বলেন, বিগত ২০২২ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে অনুরোধ করতে থাকে, তিনি যেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। সেজন্যই তিনি নেতাকর্র্মীদের অনুরোধে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি উপজেলা বাসীর কাছে নির্বাচনে তাকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার অনুরোধ জানান।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবিরের সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ১০ বছর তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু উপজেলার জনসাধারন কখনো তার সাথে দেখা করার কিংবা ফোনে একটু কথা বলার সুযোগ পাননি। তিনি মাসে দু-একবার পরিষদে এসে দাপ্তরিক কিছু কাজ করে আবার ঢাকায় নিজ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চলে যান। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান তার একটিভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কে ১ কোটি টাকার কাজ দিয়ে কাজের নামে লুটপাট করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এসব অভিযোগের প্রমান চাইলে তিনি সাংবাদিকদের দিতে পারবেন।
মতবিনিময় কালে নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য যুবলীগ নেতা ইমরুল চৌধুরী রাসেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সালা উদ্দিন সুমন সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।