গলাচিপার পক্ষীয়া গ্রামে আলম ফরাজির ছেলে মাহতাব কে স্থানীয় রানা ডেকে নিয়ে মারধর করে। এই ঘটনায় দফায় দফায় হামলায় আহত তিন জেল হাজতে দুই।
গলাচিপার পক্ষীয়া গ্রামে আলম ফরাজির ছেলে মাহতাব কে স্থানীয় রানা ডেকে নিয়ে মারধর করে। এই ঘটনায় দফায় দফায় হামলায় আহত তিন জেল হাজতে দুই।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার পক্ষীয়া গ্রামে গত ২৩ মার্চ সন্ধায় খেলার জার্সি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আলম ফরাজির ছেলে মাহতাব কে স্থানীয় বন্ধু রানা ডেকে নিয়ে মারধর করে। এই মারধর কে কেন্দ্র করে হামলর শিকার হন পিতা আলম ফরাজি ও চাচা জহিরুল ফরাজি। দফায় দফায় হামলায় গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত আলম ফরাজিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধান করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ফরাজি।
সরজমিনে জানা যায়,খেলার জার্সি কেনার টাকা নিয়ে বিতর্ক হয় বন্ধুদের সাথে। বহুদিন পূর্বে এ বিতর্ক সমাধান করেছিল গলাচিপা সদর ইউনিয়ন পরিষদের কতৃপক্ষ। তবুও ধিরে ধিরে বির্তকটি ক্ষোভে পরিনতি হয়। আর এই ক্ষোভ পুরনের জন্য গত ২৩ মার্চ রাতে বন্ধু মাহাতাব কে স্থানীয় নির্জন জঙ্গলে ডেকে নিয়ে যায় রানা। সেখানে ওতপেতে থাকা রানা সহ তার সঙ্গীরা মাহাতাব কে শারীরিক নির্যাতন করে। এই খবর পেয়ে স্বজনরা এগিয়ে আসে এবং দুষ্কৃতকারীদের অবিভাবকে জানালে তর্কবিতর্ক চরম আকার ধারণ করে। এতে দফায় দফায় হামলায় আহত হয় মাহাতাব,পিতা আলম ফরাজি ও চাচা জহিরুল ফরাজি। এমন কি স্থানীয়রা চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেও পথ আগলে আহতদের উপর পুনরায় হামলা চালায়।
অভিযোগের তদন্ত সপক্ষে হামলায় জরিত দুইজনকে আটক করে থানা পুলিশ এবং মামলা রুজু করে মামলা নং-২৫/৭৮ আটককৃত জাহাঙ্গীর সিকদার (৪০) ও আশ্রাফ হাওলাদার (৪৫) কে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।