চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিকেল চারটায় ফোরামের সভাপতি শ্রমিকনেতা তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিকেল চারটায় ফোরামের সভাপতি শ্রমিকনেতা তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন।
জাহাজভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট জহির উদ্দিন মাহমুদ, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য মাহাবুবুল আলম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কাজি আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের কোষধ্যক্ষ রিজওয়ানুর রহমান খান, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক শিমুল, বাংলাদেশ মেটাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলী, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক কে এম শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইদ্রিছ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতা মোঃ মানিক মণ্ডল প্রমুখ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার বিধি ১১১(৫) অনুসারে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মূল বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস, মার্চ মাসের পূর্ন বেতন এবং এপ্রিল মাসের আংশিক বেতন ২০ রমাজনের মধ্যে প্রদান করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাহাজভাঙা শ্রমিকেরা যে মজুরি পায় তা দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। সুতরাং রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাদের যে বাড়তি খরচ প্রয়োজন হয় তা মিটানোর জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে ঈদবোনাস প্রদান জরুরি। তারা আরো বলেন ঈদ বোনাস মালিকের দান বা ভিক্ষা নয় বরং এটা শ্রম আইন ও বিধি দ্বারা সুরক্ষিত প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার। শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে তা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাহাজভাঙা সেক্টরে ২০১৮ সালে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে জীবনের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সত্বেও ন্যায্য মজুরি পাওয়া থেকে জাহাজভাঙা শ্রমিকেরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে এবং তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এই অবস্থায় হতদরিদ্র এইসকল শ্রমিকদের কিছুটা হলেও স্বস্থি দেয়ার লক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ এবং স্থায়ী সমাধানকল্পে দেশের সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও জাহাজভাঙা শ্রমিকসহ সকল খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা প্রনয়ন এবং সীতাকুণ্ড অঞ্চলসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার দাবি জানানো হয়।