বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীতে ৯০০ টন জিপসাম নিয়ে এমভি ঘশিয়াখালী-১ নামে একটি জাহাজ ডুবে গেছে। এ সময় জাহাজে থাকা নাবিক ও কর্মচারীসহ ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয় ফাঁড়ির নৌপুলিশ।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে উলানিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকার মেঘনা নদীতে জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।কার্গো জাহাজের উদ্ধার করা নাবিকরা হলেন চালক মো. রেজাউল করিম, গ্রিজার মো. ফয়সাল, লস্কর রাজিব, রিফাত শেখ, রাহাত, ইয়াসিন হাওলাদার, সুকানি কবির, আলমগীর, এনায়েত হোসেন সরদার ও মাস্টার মো. নোমান। ডুবে যাওয়া কার্গোটি হলো এমভি খশিয়াখালী-১।
জাহাজের ইনচার্জ মো. নোমান হাওলাদার বলেন, এমভি ঘশিয়াখালী-১, এম-৭০৯৩ জাহাজটি গত ২৮ জুন পায়রা বন্দর থেকে জিপসাম লোড করা হয় এবং গত ২ জুলাই মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জে আসে। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে জাহাজ ছেড়ে অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে সিলিং করে সাওরা ডাউন যাওয়ার পথিমধ্যে অজ্ঞাত কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে জাহাজের ড্রাফট বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায়, আমি জানমাল রক্ষার্থে জাহাজটি নিকটবর্তী চরের দিকে অগ্রসর হই।
কিন্তু জাহাজটি হঠাৎ পানির ভেতরে নিমজ্জিত হওয়ার কারণে আমি জাহাজটি রক্ষার্থে ব্যর্থ হই। এমতাবস্থায় ৯৯৯ এ কল দিলে কালীগঞ্জ নৌপুলিশ ফাড়ির নৌ-টহল টিম আমাদের উদ্ধার করে লঞ্চঘাট নিয়ে আসে।কালীগঞ্জ নৌপুলিশ ফাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী জাহাজটির নাবিক এবং কর্মচারীদের ১ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নাবিকরা বর্তমানে উলানিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় নৌপুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। কার্গো মালিককে খবর দিয়েছি। তারা এলে উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।