জয়পুরহাটের ভাদশা দুর্গাদহ এলাকার কলার হাট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে কলা কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা। রমজান এলে সে সমাগম বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার অভিযোগ, হাটের জায়গা সঙ্কট খাকলেও খাজনা আদায় হচ্ছে বেশি।
জয়পুরহাটের ভাদশা দুর্গাদহ এলাকার কলার হাট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে কলা কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা। রমজান এলে সে সমাগম বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার অভিযোগ, হাটের জায়গা সঙ্কট খাকলেও খাজনা আদায় হচ্ছে বেশি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা দূর্গাদহ কলার হাটে প্রতিদিনের চিত্র এটি। আশপাশের জেলা, উপজেলা ও গ্রাম থেকে অনুপাম, সবরি, সাগর ও চাপা কলা হাটে নিয়ে আসেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
মান এবং জাত অনুযায়ী প্রতি ছড়ি কলা বিক্রি হয় আড়াইশ’ থেকে এক হাজার টাকায়। এখান থেকে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক কলা যায় ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, কুমিল্লা ও রাজশাহী থেকে ব্যাপারীরা কলা কিনে নিয়ে যায়।
তবে ক্রেতা-বিক্রেতার অভিযোগ, হাটে জায়গা সঙ্কটের পাশাপাশি খাজনা আদায় হয় বেশি। তাই ন্যায্য খাজনা আদায়ের দাবি জানান তারা।
জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কলা চাষ বেশি হয়েছে। তাই চাষিদের মনিটরিং-এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, সাগর এবং চাপা কলার বেশি চাষ হচ্ছে। কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
জয়পুরহাট জেলায় এবার ৬০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করেছেন কৃষকরা। চাহিদা থাকায় লাভও করছেন ভালো।