দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর বাজার থেকে ১০০ গজ পূর্ব দিকে বলরামপুর চলাচলের ব্রিজ ভেঙে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে কয়েক গ্রামের মানুষ।
দীর্ঘ দু'বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করলেও ভারি যানবাহন চলাচল করতে না পারারই ক্ষতির মুখে বিপাকে পড়েছেন কৃষক -কৃষাণীরা। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিজপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর, জগদীশপুর,আওলাকুড়ীসহ কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। একই এলাকার রাসেল ইসলাম জানান, এই ব্রিজ দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক লোকজন চলাচল করত। কিন্তু ব্রিজটি এখন ভেঙে যাওয়ায় সাত-আট কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদর, সহ বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয়। এতে মালামাল পরিবহনে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দ্রুত ব্রিজটি মেরামত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে উক্ত এলাকার সাধারণ জনগণ।
নিজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমত আলী বলেন, ‘ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার দীর্ঘদিন হলেও এখন পর্যন্ত ব্রিজ পুণঃ নির্মাণ না হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিশেষ করে যানবাহন ও রিকশা -ভ্যান, মোটরসাইকেল পারাপারে আতংকিত হচ্ছে সকলেই। স্থানীয় জনসাধারণরা জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আওতায় ২০০৯ সালে দুই পারের মানুষের সহজ যোগাযোগের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালে আংশিক বন্যায় ব্রিজটি দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্রিজ নির্মাণ কল্পে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা এলজিআরডি বরাবরে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় ব্রিজ নির্মাণ কাজে কাল ক্ষেপণ হচ্ছে।
এখন ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় দুই পারের মানুষেরই ভোগান্তি বাড়ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
বীরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সানাউল্লাহ জানান, প্রায় দুই বছর ধরে ব্রিজটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
পূর্বে এই প্রকল্পে ব্রিজটি করা হয়েছিল।
বর্তমানে ওই এলাকায় বড় ব্রিজ করতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ দরকার, তাই এটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তথা এলজিইডি কর্তৃক সম্পন্ন করলে দ্রুততম সময়ে হতে পারে।