ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঠাকুরগাঁও-২ আসন। ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই জমজমাট লড়াই শুরু হয়েছে আপন চাচাতো ২ ভাইয়ের মধ্যে।
এ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নৌকার প্রার্থী ও এ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজন ও তার আপন চাচাতো ভাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) আলী আসলাম জুয়েলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অত্র এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়।
এ দুজন ছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী জেলা জাপার সহ-সভাপতি নুরুন নাহার বেগম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী রিম্পা আক্তার (ডাব প্রতীক) ও সোফা প্রতীকে মোঃ আব্দুল কাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রানীশংকৈলের ২টি ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ জন প্রার্থী হলেও সুজন ও জুয়েলের মধ্যে হবে জমজমাট লড়াই। আপাতত ২ জনই সমান তালেই সভা, সেমিনার, গণসংযোগসহ অন্যান্য নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে আসছেন।
এ আসনের সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েলের মধ্যে যে কোন একজন জয়লাভ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, সীমান্ত ঘেষা বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার আংশিক নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-২ আসন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৫ জন, হরিপুর উপজেলায় ১ লাখ ১০ হাজার ১৬৬ জন এবং রানীশংকৈল উপজেলায় ৩৯ হাজার ৮৯৪ জন। তবে ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি আসন হলেও সাধারণ মানুষজন উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সাথে তাকিয়ে রয়েছে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের দিকে। প্রশাসনও করা দৃষ্টিতে রেখেছে এ আসনটিকে বলে ধারনা করা হচ্ছে।