বিশেষ অতিথি মোঃ আজাদুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আশা শিক্ষা কর্মসূচির লক্ষ্য হলো শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং গুণগত শিক্ষাকে সহজ ও সবার জন্য উন্মুক্ত করা। এছাড়া তিনি আরো বলেন যে, আশা শিক্ষা কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো বিদ্যালয়ের থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস করা, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাঠ আয়ত্ত করতে সহায়তা করা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের সহায়তা প্রদান করা।
দেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা’র শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতরা আবিউনেছা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০ টায় ডিমলা উপজেলার নাউতরা আবিউন্নেছা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবতাব উদ্দিন সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার আশা নীলফামারী (জলঢাকা) জেলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আজাদুল হক সিনিয়র শিক্ষা কর্মকর্তা আশা দিনাজপুর ডিভিশন কার্যালয়। আরও উপস্থিত ছিলেন শ্যামল চন্দ্র রায় শিক্ষা কর্মকর্তা আশা দিনাজপুর (বীরগঞ্জ) জেলা কার্যালয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নাউতরা আবিউন্নেছা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ নাসিরা আক্তার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আশা ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নে অন্যান্য সামাজিক কর্মসূচির পাশাপাশি আশা শিক্ষা কর্মসূচি ২০১১ সাল থেকে পরিচালনা করে আসছে।
বিশেষ অতিথি মোঃ আজাদুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আশা শিক্ষা কর্মসূচির লক্ষ্য হলো শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং গুণগত শিক্ষাকে সহজ ও সবার জন্য উন্মুক্ত করা। এছাড়া তিনি আরো বলেন যে, আশা শিক্ষা কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো বিদ্যালয়ের থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস করা, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাঠ আয়ত্ত করতে সহায়তা করা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের সহায়তা প্রদান করা।
শিক্ষা কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র রায় তার বক্তব্যে আশা শিক্ষা কর্মসূচির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন, তিনি বলেন আশা ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি ২০১১ সাল থেকে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে সামাজিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আশা শিক্ষা কর্মসূচি শুরু করেন। তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আশা’র মোট ১,০৫০ টি ব্রাঞ্চে শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেনি এবং ২০০ টি ব্রাঞ্চে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেনির কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এছাড়া দেশের ৬৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে এবং তাদেরকে গুণগত শিক্ষা সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে আশা’র শিক্ষা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেনিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থীর সংখ্যা সারা দেশে প্রায় ৫,৬২,৫০০ জন এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬,১০০ জন।
এছাড়া বক্তারা আশা’র শিক্ষা কর্মসূচির সার্বিক বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন এবং আশা’র শিক্ষা কর্মসূচির উন্নয়নে অভিভাবকদের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেন।