নাটোরের লালপুর উপজেলার মমিনপুর ব্লক এর আওতায় বিশ্বম্ভরপুর গ্রামে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিরলক্ষ্যে ,প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত প্যাটার্ন ভিত্তিক প্রদর্শনীর মাঠ দিবস ও কারিগরি তথ্য প্রযুক্তির আলোচনা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৮শে মে- ২০২৪ )বিকেল ৩:৩০ মিনিটের সময় আজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ,আব্দুল বারিকের সঞ্চালনায় অমৃতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিরলক্ষ্যে ,প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত প্যাটার্ন ভিত্তিক প্রদর্শনী মাঠ দিবস ও কারিগরি তথ্য প্রযুক্তির আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,মোঃমেহেদী হাসান ,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, লালপুর ,নাটোর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,মোঃ সৈকত হাসান ,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ,লালপুর ,নাটোর ।মোঃ আজিজুল হক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা,লালপুর নাটোর।
বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে ,দেশে ভোজ্যতেলের সঙ্কট থেকে উত্তরণে শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে চাহিদার ৪০ ভাগ ভোজ্যতেল স্থানীয়ভাবেই উৎপাদনের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ হেক্টর জমিতে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন হচ্ছে। যার বেশির ভাগই সরিষা।
আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ করতে হলে তিন গুণ তথা প্রায় ২৪ লাখ হেক্টর জমির প্রয়োজন। দেশে এই রকম জমি খালি নেই। তবে বোরো ও আমন ধানের মওসুমের মাঝখানে পতিত থাকে প্রায় ২০ লাখ হেক্টর জমি, এর বাইরে দেশের নদী তথা চর এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকার জমিগুলোতে তেলজাতীয় ফসল আবাদের পরিধি বাড়ানো হবে। এ ছাড়া কোন এলাকার জমি কখন খালি পড়ে থাকে সেটার তালিকা করে তেল ফসল চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে সরকার।