স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরজবেগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক প্রয়াত গোপাল চক্রবর্তীর ছেলে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্ময় চক্রবর্তী অর্থাভাবে টেস্ট পরীক্ষার ফিস দিতে না পারায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকে বকা দেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি। এ ঘটনার অপমান সইতে না পেরে লজ্জা ও অভিমানে তন্ময় বিদ্যালয়ে বসেই বিষপান করেন। তন্ময়ের বিষপানের কিছুক্ষণ পর তাকে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সুস্থতার চেষ্টা করা হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে তন্ময়কে বিদ্যালয়ের কর্মচারী জামাল ও হেমায়েত একটি আটোগাড়িতে করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। দশমিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তন্ময়কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বিকেলে পটুয়াখালী হাসপাতালে তন্ময় মারা যায়।
তন্ময়ের মা জয়ন্তী চক্রবর্তী জানান, আমার ছেলে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে বিদ্যালয়ের মরিয়ম ম্যাডাম ছেলেকে পরীক্ষার খাতা দেননি। তিনি আমার ছেলেকে বলেছেন আগে প্রধান শিক্ষকের থেকে অনুমতি নিয়ে আস পরে খাতা দিবো। প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুমতি আনতে গেলে তিনি আমার ছেলেকে বিদ্যালয়ের সব টাকা পরিশোধ না করলে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হবে না বলে বিদ্যালয় থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। তন্ময়ের চাচাতো বোন ও একই ক্লাসের শিক্ষার্থী লাবনী চক্রবর্তী জানান, আমরা পরীক্ষার হলে ছিলাম তখন তন্ময় মরিয়ম ম্যাডামের কাছে খাতা চাইলে তিনি খাতা না দিয়ে অনুমতি নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে পাঠান।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাওসার জানান, ওর বাবা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন তাই কোনো দিন ওর কাছ থেকে আমরা টাকা নেইনি। ছেলেটি নেশায় আসক্ত ছিলেন বলে দাবি তার। দশমিনা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, তন্ময়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।