কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান মুসলমান আমাদের সকলের একটাই পরিচয় আমরা সকলেই বাংলাদেশী।
এই দেশ আপনার, আমার, আমাদের সকলের। এখানে সকল ধর্মের বর্ণের মানুষের স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার আছে। একটি সরকার যাবে আরেকটি সরকার আসবে এটি একটি গণতান্ত্রিক দ্বারা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে উল্লেখ করে ডা. শাহাদাত আরো বলেন, এই বাংলাদেশ সকল ধর্মের বর্ণের এবং সকল সম্প্রদায়ের। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা যেমন হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। ঠিক একইভাবে ২০২৪ইং সালের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানেও সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। আমরা সবাই বাংলাদেশি এটাই আমাদের বড় পরিচয়।
দুষ্কৃতিকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।বিএনপির সব সময় সম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। গত ৩-৪ দিন ধরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মন্দির গির্জা উপাসনালয় ও আপনাদের ঘরবাড়ি পাহারা দিচ্ছে।যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে কোন ধরনের উপাসনালয়ে, মন্দির, গির্জায় হামলা হয়নি। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে আমাদেরকে পাশে পাবেন।
তিনি ১০ আগষ্ট, শনিবার দুপুরে প্রবর্তক সঙ্গের শ্রীকৃষ্ণ মন্দির পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এ রাষ্ট্রের সকল স্থাপনা আমাদের রক্ষা করতে হবে। কেউ যেন এসব ধংস করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে। কারণ এখনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
অবৈধ অনেক ব্যক্তির কাছে বৈধ অস্ত্র আছে, তারাও অনেকে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে। শুধু চট্টগ্রামবাসী নয়, সারাদেশের মানুষ নিরাত্তাহীনতায় আছে এখন। তাই যেসব অবৈধ ব্যক্তির কাছে ক্ষমতার জোরে বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স আছে নিতে হবে। কারণ স্বৈরাচারের দোসররা এখনো উৎপেতে আছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে অগ্রযাত্রা সেটা রুখে দিতে চাচ্ছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে আমরা দল-মত, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই থেকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, প্রবর্তক সংঘ শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দারু ব্রহ্ম দাস ব্রহ্মচারী, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস, রাধাকান্ত দাস ব্রহ্মচারী, পান্ডব গৌবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, সুহৃদ গৌরাঙ্গ দাস,বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, পাঁচলাইশ থানা বিএনপি সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ন, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সরওয়ার আলম, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন যে রহমান জিয়া জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, সৌরভ প্রিয় পাল, সুজন দাশ, সুজন ঘোষ বাদশাসহ প্রমুখ।