সিলেটের গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে ঝাপ দিয়ে আলী হোসেন নামের নিখোজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর-সুনামপুর সেতু থেকে ঝাপ দিয়ে তিনি নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তার মরদেহ খুজে পায়।
নিহত আলী হোসেন বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর গ্রামের মৃত আলা উদ্দিন ওরফে আলাই এর ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় চন্দরপুর এলাকায় রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
এর আগে শনিবার বিকালে, চন্দরপুর-সুনামপুর সেতু থেকে আলী হোসেন কুশিয়ারা নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হবার খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কুশিয়ারা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। দ্বিতীয় দফায় খোজাখুজি শেষে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরে রোববার বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে ডুবুরিরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।তবে নিহত যুবকের স্বজনদের দাবি, আলী হোসেন একজন মানসিক রোগী। সে চক্রান্তের শিকার। এ বিষয়ে আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তারা...
ডুবুরিদের সহায়তায় নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুল হক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত যুবকের পরিবার থেকে এখনো থানায় কোন অভিযোগ জানানো হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পারি স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে সে নদীতে লাফ দেয়। এ ঘটনার তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।এদিকে, শনিবার বিকাল সেতু থেকে নদীতে ঝাপ দেয়া এবং এর আগে সেতুতে যুবক ও কিছু কিশোরের সাথে ইটপাটকেল নিক্ষেপের দুটি পৃথক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, অজ্ঞাত একজন যুবক নদীতে ঝাপ দেয়ার পরও তাকে সেতু থেকে ঢিল নিক্ষেপ করা হচ্ছে।