নকলায় ভর্তূকি মূল্যের কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন বিতরণ

নাম :রেজাউল হাসান প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল , ২০২৪ ১১:০৬ আপডেট: ৩০ এপ্রিল , ২০২৪ ১১:০৬ এএম
নকলায় ভর্তূকি মূল্যের কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন বিতরণ
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ভর্তূকি মূল্যে ৫ জন কৃষকের মধ্যে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

শেরপুর  জেলার নকলা উপজেলায় ভর্তূকি মূল্যে ৫ জন কৃষকের মধ্যে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার( ৩০ এপ্রিল) দুপুরে অধিক ফলন ও উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৫টি কম্বাইন্ড কৃষকদের মাঝে হার্ভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী-এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হার্ভেস্টার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন ও কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী প্রমুখ 

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদি, ২নং নকলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ফারুক,  উপজেলা প্রকৌশলী আরেফিন পারভেজ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,উপজেলা  পরিষদের ইমাম মুফতি আব্দুল জলিলসহ  বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগন, নকলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু,  সদস্য রেজাউল হাসান সাফিত, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল আমিন, কর্মরত  স্থানীয় সাংবাদিকগণ ও হার্ভেস্টার বিপণন কোম্পানীর প্রতিনিধিগন এবং স্থানীয়  গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী জানান, প্রতিটি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারে সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ভর্তূকি দেয়া হচ্ছে। বোরো ধান কাটার মৌসুমে একদিকে শ্রমিক সংকট, অন্যদিকে বর্ষার আশঙ্কা। তাই জমিতে পানি জমার আগেই ধান ঘরে তুলার সুবিধার্থে এ সকল হার্ভেস্টার মেশিন কৃষকের প্রদান করা হয় বলে জানান। তিনি আরো জানান এটি দিয়ে ঘন্টায় ১১ থেকে ১৩ লিটার পরিমাণ জালানি দিয়ে ১একর পরিমাণ ধান কাটা ও মাড়াই করা যায় এবং হার্ভেস্টার ব্যবহার করলে প্রতি একরে বা প্রতি হেক্টরে ৬০০০ টাকা কৃষকের বাঁচতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন সরকার কৃষি খামারি যান্ত্রিকিকরণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করে তা ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশকেও এগিয়ে নিতে কৃষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। এবিষয়ে কৃষকসহ জনগণকে আরো সচেতন হবে বলে তিনি মনে করেন।

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ব্যবহার করলে কৃষকেরা বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পেতে পারেন এবং উৎপাদন খরচ ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo