শেরপুরের নকলায় ‘উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন ২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে সরকারী সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। একযোগে উদ্বোধনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১১ টার সময় নকলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেরপুরের নকলায় ‘উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন ২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে সরকারী সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। একযোগে উদ্বোধনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১১ টার সময় নকলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর অংশ হিসেবে উপজেলার ৯ নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নে চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গেন্দুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বপ্ন প্রকল্প।
চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) এ.বি.এম গোলাম রব্বানী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের শেরপুরের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন।
এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজু সাইদ সিদ্দিক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সুরুজ বাঙালি এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন দাতা সংস্থার (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি জেলা ব্যবস্থাপক মো. আমীর আলী।
তথ্য মতে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে গ্রামীণ হত দরিদ্র ও অসহায় নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন-২) শীর্ষক প্রকল্পটি দেশের ১২টি জেলা (রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারি, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, জামালপুর ও শেরপুর)-এর ৩২ টি উপজেলায় বাস্তবাবায়িত হচ্ছে। এতে মোট ১০ হাজার ১৮৮ জন গ্রামীণ হত দরিদ্র ও অসহায় নারীকে নির্বাচন করে এই সুবিধার আওতাভূক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের শেরপুরের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ও নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মোট ৭৫৬ জন গ্রামীণ হত দরিদ্র ও অসহায় নারীদের করর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখন থেকে তারা অন্তত নিরাপদে দিনাতিপাত করতে পারবেন। এইসকল নারীরা ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদিত সরকারি সম্পদসমূহ বছরব্যাপী রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
প্রজেক্ট অফিসার আজিজুর রহমান জানান, নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রতি ওয়ার্ড থেকে ৪ জন করে মোট ৩৬ জন করে সুবিধাভোগী নারীকে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন করে এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এ হিসেব মতে উপজেলার মোট ৩২৪ জন নারী এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, সুবিধাভোগী নারীরা হাজিরার ভিত্তিতে প্রতিদিন ২৫০ টাকা হারে শ্রমিক ভাতা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিটি নারীর মাঝে নির্ধারিত পোশাক, মাটি কাটার খাচা, কুদাল ও মাটি সমান করার জন্য দোরমুজ বিতরণ করাসহ প্রতিটি দলের জন্য দা, রশি, পাটি, পানি রাখার একটি করে কলস ও সচেতনামূলক ব্যানার প্রদান করা হয়েছে।
এসময় নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, ইউনিয়ন ওয়ার্কার ফারজানা আক্তারসহ উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন ২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রাম পুলিশগন, স্বপ্ন প্রকল্পের সুবিধভোগী নারীরা উপস্থিত ছিলেন।