ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া, কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো চারা রোপণে মেতে উঠেছেন তারা। মাঘ মাসের প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে নওগাঁর নিয়ামতপুরে দলবেঁধে বোরো ধানের চারা রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নারী-পুরুষ সবাই এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জমিতে পানি দেয়া, চাষ করা, আগাছা পরিস্কার, মই টেনে জমি সমান করা, সার দেয়াসহ বীজতলা হতে চারা তোলার কাজে।
ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া, কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো চারা রোপণে মেতে উঠেছেন তারা। মাঘ মাসের প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে নওগাঁর নিয়ামতপুরে দলবেঁধে বোরো ধানের চারা রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নারী-পুরুষ সবাই এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জমিতে পানি দেয়া, চাষ করা, আগাছা পরিস্কার, মই টেনে জমি সমান করা, সার দেয়াসহ বীজতলা হতে চারা তোলার কাজে।
ধানের জেলা হিসেবে খ্যাত নওগাঁর নিয়ামতপুরউপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাটি বোরো চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় আবহাওয়া ভালো থাকায় উপজেলায় এবার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ২২ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের সুরভী ১, উইন ৩০২, ৩০৫; বিজলী, ব্যবিলন এবং উফশী জাতের জিরাশাইল, কাটারীভোগ, ব্রি ধান ৭৪,৮১,৮৪,৮৬,৮৮,৮৯,৯০,৯২,৯৬,৯৭,৯৮,৯৯,১০২,১০৪; বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, বিনা ধান ১৪,২৫ সহ অন্যান্য জাতের ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে।
উপজেলার ভাবিচা গ্রামের কৃষক গৌতম মন্ডল বলেন, বীজ (বিছন) রোপণের উপযোগী হওয়ায় আগাম বোরো ধান রোপণ শুরু করেছি। তাছাড়া আগে ধান রোপণ করলে সহজেই শ্রমিক পাওয়া যায়। উষ্ঠিপাড়া গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, আগাম ধান রোপণ করলে আগাম ধান কাটা যায়। তাছাড়া বোরো ধান কাটার সময় বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে ঝড়- শিলা বৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। আগাম ধান রোপণ করলে ঝড়-বৃষ্টির আগেই ভালোভাবে ফসল ঘরে তোলা যায়।
বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ তীব্র শীত উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমা করছেন। আবার কেউ পাওয়ার টিলার দিয়ে চষে জমি তৈরি করছেন। আবার কোথাও কোথাও কৃষকরা তাদের তৈরিকৃত জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। কোথাও গভীর অথবা অগভীর সেচযন্ত্র দিয়ে জমিতে পানি তুলছেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে ২২ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে ধান আবাদ হবে বলে তিনি আশা করেন। ।উপজেলার সকল কৃষকদের বোরো ধান চাষে সব ধরনের পরামর্শ ও সহোযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। রোপণ শেষ হলে পরবর্তীতে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করার জন্য আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি স্থাপন করার জন্য জনসচেতনতা ও প্রচার-প্রচারণা করা হবে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার বোরোতে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।