নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার কুটিরডাঙ্গা এলাকায় জোড়পূর্বক ভূমি দখল করে বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও হামলা করে হত্যার চেষ্টা এবং নিরিহ কৃষকদের আহত করার অভিযোগে নীলফামারীর দুই সাবেক সংসদ সদস্য সহ আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নামীয় ৭৪ জন এবং অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ডিমলা উপজেলার কুঠিরডাঙা গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে কৃষক আনিছুর রহমান (৪০) বাদী হয়ে নীলফামারীর ডিমলা আমলি আদালতে হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করলে বিচারক আশিকুর রহমান মামলাটি ডিমলা থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।
নামীয় উল্লেখযোগ্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রান ও পূর্নবাসন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ, ডিমলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এইচএম ফিরোজ সরকার, ডিমলা উপজেলারসহ নামীয় ৭৪ জন। মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হিসাবে ৭২ জন কৃষককে সাক্ষি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, আসামীরা সকলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ও দাপটি নেতাকর্মী। তাদের একটি সন্ত্রাসী টিম রয়েছে যার নাম আগুন খাওয়া। বাদী মামলায় বলেন আসামীরা ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগষ্ট পর্যন্ত বাদী সহ এলাকার কৃষকদের প্রায় ৩০ একর জমি জোড়পূর্বক দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসে। বাধা দিতে গেলে জমির মালিকদের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা চেষ্টায় আহত করে। এমন কি এলাকার হাটবাজার বাসাবাড়িতে হুমকী প্রদান করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসে।
তাদের ভয়ে এতোদিন কেউ আইনের আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হয়। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় বাদী সহ নিরিহ কৃষকরা তাদের প্রাপ্ত জমি ও ক্ষতিপুরন ফিরে পেতে এবং আসামীদের বিচারের দাবিতে উক্ত মামলা দায়ের করেছেন। বাদীর আইনজীবী এ্যাডঃ মহম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, এই মামলায় ২১টি ধারা আনা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহন করে ডিমলা থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।