নেত্রকোনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদলের সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যা

মেহেদী হাসান সামাদ প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:২৫ আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:২৫ পিএম
নেত্রকোনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদলের  সভাপতিকে  পিটিয়ে হত্যা
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর ) আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকায় জেলার সদর হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সিদ্দিকুর রহমান সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন।সরেজমিন গিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে না যায়, নিহত সুরুজ এর সাথে অভিযুক্ত মাহাবুব এর পূর্ব থেকে ব্যবসায়িক ঝামেলা ছিল।

নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের  কুমারপাড়া এলাকায়   পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে   প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে মো. সিদ্দিকুর রহমান সুরুজ (৫৫) নামক  ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক  সভাপতির  মৃত্যু  অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার  (৩ সেপ্টেম্বর ) আনুমানিক বিকাল ৪  ঘটিকায়   জেলার সদর হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সিদ্দিকুর রহমান সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন।সরেজমিন গিয়ে নিহত ব্যক্তির  পরিবার ও এলাকাবাসী  সূত্রে  না যায়, নিহত সুরুজ এর সাথে অভিযুক্ত  মাহাবুব এর  পূর্ব থেকে ব্যবসায়িক ঝামেলা ছিল। 

এর প্রেক্ষিতে  উভয়ের মধ্যে  বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে  ঝামেলা হয়ে থাকে।গত ২ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তির বাড়ির পাশে  মাহাবুবের  দুই ছেলে সহ অনেকেই  ফুটবল খেলছিল এতে করে সুরুজের ঘরের জানালায় বল পড়লে নিহত ব্যক্তি  খেলার জন্য নিষেধ করায়  তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।  

৩ সেপ্টেম্বর  বিকেল তিনটায়  নিহিত সুরুজের বাড়ির সামনে চাষাবাদকৃত জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছিল তখন হঠাৎ করে অভিযুক্ত আসামিরা রাস্তা দিয়ে গালিগালাজ করতে করতে আসেন এটা দেখে সুরুজ রাস্তার দিকে গেলে আসামিরা তাকে লাঠি সোটা দিয়ে মারধর করে ফেলে রেখে যায়। এতে করে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে মৃত ঘোষণা করার পরেও  তার পরিবারের লোকজন জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, নিহত সুরুজ হিরনপুর বাজারে একজন বড়  ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু  অভিযুক্ত মাহাবুব  তাকে ফিশারিজ ব্যবসায় উৎসাহিত করেন এতে করে তারা দুজন ব্যবসা শুরু করার বছরখানেকের মধ্যে টাকার হিসেব নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভয়, হুমকি সহ উস্কানীমূল কথা বলে।  এছাড়াও তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে ও  বিভিন্ন সময় কটূক্তি করে থাকে।

তিনি আরও বলেন,  তার স্বামী সুরুজ দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ির পাশের জমির আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। সে সময় মাহাবুব সহ তার দুই ছেলে আবু জাফর (২৭) ও আবু সাঈদ সাফর (২৩) সহ একই এলাকার আইনদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর(২০) সহ  অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে  সাথে  নিয়ে  গালিগালাজ করতে করতে বাড়ির সামনে আসলে স্বামী তাদের  কাছে যাওয়া মাত্রই কাটের  লাঠি  দিয়ে মারধর করে এতে সুরুজকে  রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে  আশেপাশের মানুষদের ডাকাডাকি করেন চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ এসে উনাকে  উদ্ধার করে। অভিযুক্ত আসামিদের  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির  দাবি জানান।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo