নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনটি একটি মাত্র উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৫২ জন। প্রতিটি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে আ.লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধীতা করে আসছে।
এ আসনের বর্তমান সংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীক টানা তিন বারের নির্বাচিত। তিনি পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শহীদ কর্ণেল তাহের বীর উত্তমের ভাই। বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিবেচনায় এবারও দলীয় মনোনয়ন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তার সমর্থক গোষ্ঠী,তবে তিনি মাঠে নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক এবং সামাজিক কোনো কর্মকাণ্ডেও তাকে দেখা যাচ্ছে না। তার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন,তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমপি বেলাল ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাচ্ছেন অন্তত অর্ধডজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে এক হেভিওয়েট প্রার্থীও রয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের টানা পাঁচ বারের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন এবার শতভাগ মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী। এরই মধ্যেই নেতাকর্মীদেরকে আশ্বস্ত করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।
গত নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর তিনি আবারও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পান। এবং উনার সহধর্মিনী জাকিয়া খানম মনি কে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি মনোনিত করা হয়।এতে পূর্বধলার পাশাপাশি গোটা জেলাতেই তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। এলাকায় এসে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন তিনি। কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতা,তরুন আওয়ামীলীগ নেতা আমেরিকা প্রবাসী আমানুর রশিদ জুয়েল,প্রবাসে থেকেও দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ,মন্দির,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সমাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও তৃনমুল আওয়ামীলীগের কর্মিদের পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে র্নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরেক নতুন প্রার্থী হলেন লন্ডন প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার তুহিন আহমেদ খান। গত নির্বাচন থেকে মনোনয়ন চেয়ে আসছেন তিনি। এদিকে লন্ডন প্রবাসী তুহিন আহমেদ খান ও বেশ আগে থেকে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। অন্যদের মধ্যে বাকৃবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মিছবাহুজ্জামান চন্দন, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনও মনোনয়ন চাইবেন।তাদের পাশাপাশি এলাকায় আরো যারা গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ,মহানগর কৃষকলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সোহেল।
এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঐক্য নেই। প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা গ্রুপিংয়ে বিভক্ত।কোন্দলের কারণে এই উপজেলা ২০০৩ সালের পর আওয়ামীলীগের সম্মেলনের দেখা মিলেনি। বিশেষ দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচীগুলোও এখানে আলাদাভাবে, এমনকি পাল্টাপাল্টি পালন করা হয়। এসব গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটেছে। তবে সাধারণ নেতাকর্মীরা বলেছেন, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে দলের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন দলটির কর্মি সমর্থকরা।