আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে চার দিন আগে খুচরা বাজারে দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সেই দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।
পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী হতে না হতেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে আদা রসুনের দাম। গত তিন-চারদিনের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি আদা ৪০ টাকা ও রসুনের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে চার দিন আগে খুচরা বাজারে দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সেই দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। সেই হিসেবে চার দিনে বেড়েছে ৫০ টাকা। একইভাবে বড় আকারের চায়না রসুন কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। যা ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিলো।
একইভাবে বাজারে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় আর আমদানি করা আদার দাম ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৪০ টাকা পর্যন্ত বেশি।
পূর্বধলা আগীয়া হোগলা শ্যামগঞ্জ ঝানঞ্জাইল বাজারে আদা-রসুন বিক্রেতা মতে দুধী বাজারের আশরাফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে আদা-রসুনের বাজার বাড়তি। কি কারণে দাম বাড়ছে জানিনা, আমরা বেশি দামে কিনছি তাই বেশি দামে বিক্রি করি।
তবে পূর্বধলা বাজারের পিয়াজ রসুনের আরত স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন বলেন, চীনে আদার-রসুনের দাম বৃদ্ধি ও দেশে ডলারের দাম বাড়ার কারণে এখন দাম বাড়ছে। এছাড়া দেশি রসুনের মৌসুম শেষ। সে কারণে যোগান কম।
এদিকে সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে দেশি রসুনের ২৪০ শতাংশ এবং আমদানি করা চায়না রসুনের ৯৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। একইভাবে দেশি আদা ২০০ শতাংশ এবং আমদানি করা আদা ৮৫ শতাংশ বেড়েছে।
গোয়াতলা বাজারে বেশ কয়েক বছর থেকে আদা-রসুন পাইকারি বিক্রি করেন । তিনি বলেন, প্রতি বছর মৌসুমের শেষে আদা রসুনের দাম বাড়ে। তবে এ বছর অনেক আগে থেকে দাম একটু একটু করে বাড়ছে। দেশে আদা-রসুনের মৌসুম ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু।