বরগুনার তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বসত ঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুসহ তিন নারী আহত হয়েছে।
বরগুনার তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বসত ঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুসহ তিন নারী আহত হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকার হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে হাসি বেগম নামের একজন কে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুসহ দুই নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, ফাতিমা বেগম(৫৫), হাসি বেগম(৩০), আমেনা বেগম(৫২) ও শিশু হাসান।
আহত হাসি বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কালাম ডুবুরী ও আলমগীরসহ তাদের লোকজন আমাদের সরকারী ভাবে ২০০৬-৭ বন্দবস্ত পাওয়া জমি দখলের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আদালতে মামলায় আমরা রায় পেয়েছি। শনিবার রাতের আধারে আলমগীরের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লোক দরজা ভেঙ্গে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের মধ্যে কোনো পুরুষ না থাকায় আমিসহ আমার বোন ও বোনের ছেলেসহ সবাইকে মারধর করে। পরে বসত ঘর ভাংচুর করে এবং নগদ অর্থসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। পরে ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থালে যায় পুলিশ।
আরেক বোন ফাতিমা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতে দুইবার আমরা রায় পেয়েছি ও চুড়ন্ত ডিগ্রী পেয়েছি তবুও আমাদের জমি ভোগদখলে দিচ্ছে না। উল্টা আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়েছেন তারা। তিনি আরও বলেন একাধিকবার স্থানীয়ভাবে শালীস বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কোন রায়ই তারা মানে না। জোর করে জমি ভোগ দখলের জন্য নারীদের উপর হামলা করেছে। তাদের খাম খেয়ালীপানায় আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।
আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের উপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে তা আমাদের জানা নেই। আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করছে তারা। উল্টো আমাদের জমি তারা দখল দিয়ে রাখছে।
তালতলী থানার ভারপ্তাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম খান,দুই পক্ষই জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। হামলার ঘটনায় কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।