আট-দশটা বাচ্চার মতো স্বাভাবিক জন্ম নিয়েছিলেন মইনুল ইসলাম আর্য। জন্মের কিছুদিন পড়ে স্ট্রোক করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা
পঙ্গু হাসপাতাল এবং ভারতেও চিকিৎসা করানো হয়। তবুও সুস্থ্য হতে পারেন নি। ফলে মইনুলের ডানপাশ প্যারালাইসড হয়ে যায়। তবুও
দমে যায়নি মাইনুল। মনে সাহস ও ইচ্ছাশক্তিকে পুজি করে শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছেন। জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য হুইল চেয়ারকে দোকান বানিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। মাইনুলের এমন মানসিক শক্তি দেখে আনন্দিত পরিবার ও এলাকাবাসি।
আট-দশটা বাচ্চার মতো স্বাভাবিক জন্ম নিয়েছিলেন মইনুল ইসলাম আর্য। জন্মের কিছুদিন পড়ে স্ট্রোক করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা
পঙ্গু হাসপাতাল এবং ভারতেও চিকিৎসা করানো হয়। তবুও সুস্থ্য হতে পারেন নি। ফলে মইনুলের ডানপাশ প্যারালাইসড হয়ে যায়। তবুও
দমে যায়নি মাইনুল। মনে সাহস ও ইচ্ছাশক্তিকে পুজি করে শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছেন। জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য হুইল চেয়ারকে দোকান বানিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। মাইনুলের এমন মানসিক শক্তি দেখে আনন্দিত পরিবার ও এলাকাবাসি।
মইনুল ইসলাম আর্য (২৫) যশোর শহরের উপশহর এলাকার ‘এ’ ব্লকে বসবাস করেন পরিবারের সাথে।মইনুল’র বাবা রফিকুল ইসলাম আকিজ তেলপাম্পে চাকরি করেন। বাবা-মা ও দুই বোন আছে। দুই বোনের মধ্যে, বড় বোন বাদশা ফয়সাল স্কুল থেকে এবছর এস এস সি পরীক্ষা দেবেন এবং ছোট বোন বিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়েন। অন্য পাঁচজনের মত স্বপ্ন ছিল বড় কিছু করার মাইনুলের। কিন্তু পায়ে সমস্যার কারণে তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়ে ওঠেনি। তবে মইনুল হাল ছাড়েন নি। হুইল চেয়ারের মাধ্যমে সারাদিন এদিক-ওদিক ঘুরে চিপস, চানাচুর, বাদামসহ বিভিন্ন ধরণের মুখরোচক খাবার বিক্রি করছেন। এ ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রতিদিন তার হাত খরচ চলে। বাকি টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেন বলে জানান মইনুল ইসলাম আর্য।
বৃহস্পতিবার উপশহর ক্রীড়া উদ্যানে হুইল চেয়ারে করে খাবার বিক্রি করছিলেন মইনুল ইসলাম আর্য। কাছে গেলে দেখা যায়, এলাকার বাচ্চারা তার কাছে ভীড় করছে। তার কাছে চিপস, চানাচুর, বাদামসহ বিভিন্ন ধরণে মুখরোচক খাবার কিনছে এসব শিশুরা। তিনি বলেন, প্রতিদিন সে তার হুইল চেয়ারে করে যশোর চুড়িপট্টি পাইকারি মার্কেট থেকেবিভিন্ন খাবার কিনে আনি। পরে সেগুলো ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। খাবার মুখরোচক হওয়ায় বেচা- বিক্রি ভালো হচ্ছে। আমার কারো কাছ থেকে হাত খরচের টাকা নিতে হয় না। এ ব্যবসা থেকে আমার নিজের হাত খরচ আমি নিজেই বহন করি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এই কাজে তাকে কেউ কখনো নিরুউৎসাহিত করেন নি। বরং এলাকার মানুষ তাকে সব সময় উৎসাহিত করেছে। যার কারণে বাদশা ফয়সাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীপর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। শারীরিক এ সমস্যার কারণে পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। একই সাথে বাসায় নিজের কাজ নিজে করতেপারি অন্যের সহায়তা প্রয়োজন হয় না। যশোর সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু বলেন, মনেসাহস ও ইচ্ছাশক্তিকে পুজি করে শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছেন মাইনুল ইসলাম আর্য। এটা সমাজের জন্য ভালোএকটা মেসেজ। আমি মাইনুলের পাশে আছি।মাইনুল জন্য কিছু করবো।’