চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করায় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আমজাদ হোসেন কে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ৫ হাজার টাকা সম্মানি দেন।
চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করায় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আমজাদ হোসেন কে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ৫ হাজার টাকা সম্মানি দেন।
বুধবার বিকেলে আমজাদ হোসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন কে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনে অশোভনীয় আচরণ করে বলেন, ৫ হাজার টাকা দিয়ে তাকে অসম্মান করা হয়েছে, তাকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন কে তিনি বাধ্য করেন তার চাহিদামত টাকা দিতে।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) রাতে কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন চাটখিল প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। এসময় তিনি আরো জানান, গত সোমবার বিদ্যালয়ের ভোট গ্রহন শেষে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা একাডেমিক সুপারভাইজারকে ৫হাজার টাকা সম্মানি প্রদান করা হয়। বুধবার বিকেলে তিনি একাডেমিক সুপারভাইজার আমজাদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে, তিনি বলেন ৫হাজার টাকা দিয়ে তাকে অসম্মান করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করায় প্রধান শিক্ষক থেকে মোট ২২হাজার টাকা এককভাবে আদায় করে নেন। এছাড়া নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং পদে দায়িত্ব পালনকারী দুজনকে ৮হাজার এবং পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা ৪জনকে ১২হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনে একজন একাডেমিক সুপারভাইজার হয়ে তাকে যেভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে তা ঘৃণীত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আমজাদ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করলেও কেন এতো টাকা নিয়েছে এবং প্রধান শিক্ষকের সাথে অশোভনীয় আচরণ করেছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যা’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের টাকা-পয়সা দেওয়ার নির্ধারিত কোন নিয়ম নেই। কোন প্রতিষ্ঠান সন্তুষ্ঠ হয়ে যা সম্মানি প্রদান করে তাই নিতে পারে। তবে একাডেমিক সুপারভাইজার কর্তৃক প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না, তাই এই বিষয়ে তিনি অবগত নাই।