ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক নন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক দিন আগেই ওই ব্যক্তিকে ভারতীয় নাগরিক উল্লেখ করলেও মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তি ভারতের নাগরিক নন, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, ভাঙ্গার হরি মন্দির ও কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আমাদের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সঞ্জিত বিশ্বাসের (৪৫) বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস (৭২)ফরিদপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানান, আটককৃত ব্যক্তি তার ছেলে। তার প্রকৃত নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫), বাবা- নিশিকান্ত বিশ্বাস, সাং-নিজামকান্দী, থানা- কাশিয়ানি, জেলা- গোপালগঞ্জ।
তার বাবা আরও জানান, তার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ, প্রায় ২৪/২৫ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশে ভারতে গিয়ে অনেকদিন ছিল। পরে দেশে ফেরে। প্রায় চার বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হলে আর বাড়িতে ফিরেনি এবং পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ নাই। প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করে বলে জানা যায়। এ কারণেই হয়তো মাঝে মধ্যে বাংলা এবং হিন্দিতে কথা বলে।ফরিদপুর জেলা পুলিশের এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি এখন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ( ১৪ ই সেপ্টেম্বর) রাতের কোন এক সময় ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দিরের কার্তিক ঠাকুরের হাতের আঙুল, ময়ূরের গলা মোচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা দেখে ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করে মন্দির কমিটি।