ফরিদপুরের সালথায় পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা দিলে তাদের লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষকারীরা। বাধ্য হয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিবেশ শান্ত করেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গোপালিয়া উত্তরপাড়ায় ইয়ার আলী নামে এক ব্যক্তির একটি পল্ট্রি মুরগির ফার্মের ঘর রয়েছে। শনিবার বিকেলে ওই ঘরের পাশে তিনি আরও একটি মুরগির ঘর নির্মাণ করতে গেলে তার চাচাতো ভাই মো: ওমর আলী বাধা দেয়। তারা দুই জন চাচাতো ভাই হলেও আলাদা আলাদা গ্রাম্য দলের সমর্থক। ওমর আলী সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যার সমর্থক আর ইয়ার আলী যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ফরহাদের সমর্থক। পরে ওই দুই জনের কথা কাটাকাটির জেরে উভয় পক্ষের কয়েক শত লোক লাঠিসোটা, ঢাল, কাতরা, বল্লভ, রামদা, ছ্যানদা, টেটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোপালিয়া মাঠের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দু'টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।