পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে গরু চোর সন্দেহে সোহাগ মুন্সি (২৭) নামে এক যুবককে অভিনব কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোহাগ আহত হয়ে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আহত সোহাগ ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর ওয়াডেল এলাকার ওমর মুন্সির ছেলে। সে পেশায় একজন মাছ ধরা জেলে।
সোহাগ মুন্সি বলেন, গত বুধবার রাতে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের খানকা নামক ¯স্থানের বাসিন্দা আলিমাত চৌকিদারের ৪টি এবং লোকমান খা’র ২টি গরু চুরি হয়। এদিকে শনিবার (১৩ জানুয়ারী) পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার বাবার সাথে ঝগড়াঝাটি হয়। বিকেলে সোহাগ রাগ করে কালাইয়া হয়ে লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ধুলিয়া পর্যন্ত আসলে হঠাৎ তার পাশের বাড়ির ফোরকান খা, লোকমান খা, আনার কাজি, সিদ্দিক খা, হেমায়েত খা, খোকন খা, আবদুল খা, হামেদ গাজি ও আলিমাত চৌকিদার সংঘবদ্ধ হয়ে এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ঘের নামক ¯’ানে নামিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
আহত সোহাগ মুন্সি আরও বলেন, আলিমাত চৌকিদারের ঘরে আমাকে সারারাত আটকে রেখে মারধর সহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালায়। পরদিন রোববার তারা সবাই মিলে খানকা ক্লাবে নিয়ে আবারও মারধর করে। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সোহাগ মুন্সির বাবা ওমর মুন্সি বলেন, আমার ছেলে নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরতে ব্যস্ত থাকে। এমন কর্মকান্ডে সে জড়িত না। আমি বিনাঅপরাধে আমার ছেলেকে নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আলকাস মোল্লা বলেন, আমি তাদের বলেছি তোমরা সোহাগকে না মেরে জিজ্ঞাসা করে কথা বের করো। তারা নাকি জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে সোহাগকে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে। ক্লাবে ডেকে সোহাগকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। জানতে পেলাম তারা নাকি তাকে আবার মারধর করেছে।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রে জানা যায়, রাতের আধারে একদল সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যরা গরু ও মহিষ চুরি করে নিঃস্ব করে দিচ্ছে কৃষকদের। গরু ও মহিষ চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ।