নাটোরের বাগাতিপাড়ার বুক চিরে বয়ে চলা এক সময়ের স্রোত বয়ে যাওয়া বড়াল নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও সামান্য পানির দেখা মেলে। সেই সামান্য পানিতে স্থানীয় শৌখিন মাছ শিকারীরা নেমে পড়েন নদীর পানিতে।১৭/০৪/২৪ বুধবার দুপুরে এমন চিত্র দেখা গেল উপজেলার সালাইনগর ব্রীজের নীচে বড়াল নদীতে। যেন তারা মাছ শিকারের উৎসবে মেতেছেন।
নাটোরের বাগাতিপাড়ার বুক চিরে বয়ে চলা এক সময়ের স্রোত বয়ে যাওয়া বড়াল নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও সামান্য পানির দেখা মেলে। সেই সামান্য পানিতে স্থানীয় শৌখিন মাছ শিকারীরা নেমে পড়েন নদীর পানিতে।১৭/০৪/২৪ বুধবার দুপুরে এমন চিত্র দেখা গেল উপজেলার সালাইনগর ব্রীজের নীচে বড়াল নদীতে। যেন তারা মাছ শিকারের উৎসবে মেতেছেন।
বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জাল টেনে মাছ শিকার করছেন। দুয়েকটি ছোট-বড় মাছ ধরে যেন আনন্দে মেতে উঠছেন তারা। ঘন শেওলার মাঝে লুকিয়ে থাকা মাছগুলোকেও তাড়া দিয়ে বের করে জালে আটকানোর চেষ্টা করছেন এসব শৌখিন মাছ শিকারীরা। তপ্ত দুপুরের কাঠফাটা রোদও যেন তাদের মাথায় নেই। অবশেষে প্রায় দেড়-দুই ঘন্টা ব্যাপি চলে মাছ শিকার। কিন্তু কাঙ্খিত মাছ না পেলেও দল বেঁধে শিকারের উৎসবেই যেন তারা বেজায় খুশি। মাছ শিকারীদের মধ্যে কয়েকজন গৃহবধুরা জানায়, ছোট বেলায় বাড়ির পুকুরে শুকনো মওসুমে মাছ ধরতাম।
নদীতে অল্প পানি হওয়ায় সবার সাথে মাছ ধরতে নেমে বেশ ভালো লেগেছে। মাছ শিকারী বাজিতপুর গ্রামের আবিদ হাসান বলেন, নদীতে পানি নেই। আঁকা বাঁকা বড়াল নদীতে কিছুটা গভীর এলাকায় হাঁটু পানি জমে আছে। ওই পানিতে কিছু ছোট মাছ ভাসতে দেখে মাছ ধরতে নেমেছিলাম। মাছ তেমন একটা পাওয়া না গেলেও আনন্দটায় বেশি হয়েছে।
একই গ্রামের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সন্ধ্যা জানায়, মা-বাবা, চাচা-চাচীদের সাথে মাছ ধরতে নেমেছিলাম বেশ আনন্দ হয়েছে। উপজেলা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী বলেন, শুকনো মওসুমে এই বড়াল নদী শুকিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা হাঁটু পানিতে মাছ শিকার করেন। কিন্তু নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নদী কেন্দ্রীক জীবিকা নির্বাহীকারী জেলে সম্প্রদায় যেমন কাজ হারায়, তেমনি কৃষকরাও সেচের পানি সংকটে ভুগেন। তাছাড়া পানি না থাকায় নদীতে মাছ উৎপাদনও ব্যাহত হয়। তিনি নদী রক্ষায় বড়াল নদীটিকে খননের দাবি জানিয়েছেন।