বিকেল হতে না হতেই শহীদ মিনারে জুতা পায়ে দর্শনার্থীরা

মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১২:৩৪ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১২:৩৪ পিএম
বিকেল হতে না হতেই শহীদ মিনারে জুতা পায়ে দর্শনার্থীরা
ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহীদদের সম্মানে শৃঙ্খলা মেনে শহীদ মিনারের মূল বেদীতে প্রবেশ করলেও বিকেল হতে না হতেই জুতা নিয়ে হাটাহাটি শুরু করে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই স্থাপত্যের মূল বেদীতে জুতা পায়ে ওঠার নিয়ম না থাকলেও হরহামেশাই জুতা পরে হাটছেন, ঘুরছেন এবং ছবি তুলছেন অনেকেই।

ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহীদদের সম্মানে শৃঙ্খলা মেনে শহীদ মিনারের মূল বেদীতে প্রবেশ করলেও বিকেল হতে না হতেই জুতা নিয়ে হাটাহাটি শুরু করে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই স্থাপত্যের মূল বেদীতে জুতা পায়ে ওঠার নিয়ম না থাকলেও হরহামেশাই জুতা পরে হাটছেন, ঘুরছেন এবং ছবি তুলছেন অনেকেই।

এ প্রসঙ্গে জুতা নিয়ে প্রবেশ করা একজনকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ভাই, ছবি তুলেই নিচে নেমে যাব। বেশিক্ষণ থাকব না। জুতার ফিতা খুলতে একটু ঝামেলা, এ জন্য সাইডে দাড়িয়ে কয়েকটা ছবি তুলব ভাবছিলাম।বেদীতে জুতা পরে ঘোরাঘুরি করা আরেকজন বলেন, জুতা নিয়ে এখানে আসা আসলে ঠিক হয়নি। এরপর থেকে আর এরকম হবে না বলে আশা করি।বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির পথে যেসব ভাষা এ ছাড়া, কয়েকজনকে মূলবেদীতে জুতা পায়ে উঠার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, এটা (জুতা নিয়ে বেদীতে উঠা) আসলে একটা বিশাল মর্ম বেদনার কারণ। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের অস্তিত্বকে খুঁজে পাই। সেটারই প্রতীক হচ্ছে আমাদের এই শহীদ মিনার ও এই চত্ত্বর। এটা আমাদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এজন্য এখানে জুতা পায়ে প্রবেশ করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ তো বটেই কোনো অবস্থাতেই এটা করা উচিত নয়। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এখানে এ ধরনের গর্হিত কাজ কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।

তিনি আরও বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট, বিএনসিসি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নানা ধরনের মনিটরিং বডির মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়। তবে, অনেক সময় দেখা যায়, এখানে এত বেশি জনস্রোত থাকে যে, তাদেরকে নিষেধ করা হলেও মাঝেমধ্যে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায় পরিবেশ। কিন্তু, এ বিষয়টাকে অবশ্যই আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo