আসন্ন ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। হাটবাজারে, চায়ের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে নির্বাচনী আলোচনাসহ পছন্দের প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তির বিষয়ে নানা সমীকরণ।
পাঁচ প্রার্থীই ভোটের মাঠে সরব। এদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ যতোই ঘনিয়ে আসছে ততই গ্রামাঞ্চলে কিংবা চায়ের দোকানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারনা জমে উঠছে। তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশংকা করছেন অনেকেই। তবে এবার নির্বাচনে ভোটারদের এখনও তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অনেক ভোটার জানেন না এই উপজেলায় কত তারিখে ভোট, কে কোন পদের প্রার্থী, কিংবা কতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশেষ করে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের সম্পর্কে তাদের তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। ষষ্ঠ বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম(ঘোড়া) মার্কা,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু হুসাইন বিপু,(আনারস) মার্কা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান বাদশা(টেলিফোন) মার্কা, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু (কাপপিরিচ) মার্কা, শতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কে.এম কুতুব উদ্দিন (দোয়াত কলম)।
রবিবার (১9 মে) বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম,পলাশবাড়ী,মরিচা,মোহনপুর, ইউনিয়েনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোড়া মার্কার আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন ও এক বার দিনাজপুর -১ (বীরগঞ্জ -কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন সাবেক সংসদ সদস্য। এ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুর ভোটটা হয়তো ঘোড়া প্রতীকে একটু বেশিই,পড়বে বলে ধারনা করছে অনেকে।
পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাম্মনবিটা গ্রামের বাসিন্দা আহসান আলী (55) বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। নতুন ও তরুণ-যুবক বেশীর ভাগ ভোটাররাও ঝুঁকছে আনারসের দিকে। তা ছাড়া তাঁর বাবাও (আবু হুসাইন) সুজালপুর ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি এবং আনারস মার্কার আবু হুসাইন বিপু দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করেছেন। সেদিক বিবেচনায় মাঠ কিছুটা গোছানোই আছে তাঁর।
কাপপিরিচ মার্কার রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন এবং দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন,দল থেকে বহিস্কৃত হলেও বিএনপির প্রায় সকল নেতাকর্মীরা তার জন্য নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি প্রচার প্রচারণায় বেশি এগিয়ে রয়েছে। দোয়াত কলম মার্কার কে এম কুতুবউদ্দিন শতগ্রাম ইউপির তিন বারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক আগে থেকেই, সেই সাথে তিনি ভোটের মাঠে ভালো একটি অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। টেলিফোন মার্কার ওয়াহেদুজ্জামান বাদশা মোহাম্মদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কে তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তোরজোর লক্ষ যাচ্ছে না। সাধারন সমর্থকদের ভাষ্য মতে আনারস এবং কাপপিরিচ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সব মিলিয়ে সচেতন মহলের ধারনা এবারের নির্বাচনে চার প্রার্থীর মধ্যেই শক্ত লড়াই হবে । নির্বাচনে যেই জয়ী হোক ভোটের ব্যবধানে খুব বেশী পার্থক্য থাকবেনা।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা