কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন যশোর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। বেতন বৃদ্ধির আশ্বাসে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্তা ব্যক্তিদের ভাষ্য, বেতন বাড়ানোর কোনো আশ্বাস তাদের দেয়া হয়নি।
কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন যশোর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। বেতন বৃদ্ধির আশ্বাসে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্তা ব্যক্তিদের ভাষ্য, বেতন বাড়ানোর কোনো আশ্বাস তাদের দেয়া হয়নি।
কলোনিতে বিদ্যুত পুঃনসংযোগের দাবি থেকে সরে গিয়ে টানা কয়েকদিন কর্মবিরতির পর শুক্রবার কাজে ফিরেছেন হরিজন সম্প্রদায়ভুক্ত পৌর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। ফলে শহর ময়লা-আবর্জনা মুক্ত হওয়ায় নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরেছে। শহরবাসী সকালে উঠেই দেখতে পায় শহরে কোন ময়লা আবর্জনা নেই।পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির কোনো আশ^াস দেয়া হয়নি। আগামী মাসিক সভায় বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি জানান, হরিজনদের বলা হয়েছে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে নতুন প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দেয়া হবে। তাদের প্রয়োজন মতো রিচার্জ করে বিদ্যুত ব্যবহার করবে। বকেয়া বিদ্যুত বিল পৌরসভা থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।পৌর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার জানান, পৌরসভা থেকে তাদের দাবি পূরণের আশ^াস দেয়ায় কাজে ফিরেছেন।পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসির জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন বাড়ানোর কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি।গত সপ্তাহের রোববার শহরের রেলবাজার হরিজন কলোনির বৈদ্যুতিক মিটার আগুনে পুড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে বিদ্যুতের পুঃসংযোগের ব্যাপারে ভূমিকা না রাখায় কর্মবিরতি শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে শহর ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়।এরপর পৌর পরিষদ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেয় একদিনের মধ্যে কাজে না ফিরলে লোক নিয়োগ দিয়ে শহর পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করবে। এর পরের দিন হরিজনরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। জেলা প্রশাসক তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। অন্যদিকে পৌরসভা তাদের নিজস্ব জনবল দিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে শহর পরিচ্ছন্নতা কাজ শুরু করে। এরপর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শুক্রবার কাজে ফেরে।