জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বৈমাত্রেয় ভাই ও বোন কর্তৃক পৈত্রিক সম্পত্তি আত্নসাতের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে অন্য আরেক এক ভাই সুমন আলী মন্ডল। ৩১ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ীতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বৈমাত্রেয় ভাই ও বোন কর্তৃক পৈত্রিক সম্পত্তি আত্নসাতের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে অন্য আরেক এক ভাই সুমন আলী মন্ডল। ৩১ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ীতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সুমন আলী মন্ডল (২৫) উপজেলায় ধরন্জী গ্রামের মৃত রোস্তম আলী মন্ডল ও মোছাঃ মঞ্জুয়ারা বেগমের একমাত্র পুত্র। সুমন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা রোস্তম আলী মন্ডল প্রায় ২৫ বছর পূর্বে আমার মা মোছাঃ মঞ্জুয়ারা বেগমকে বিবাহ করে ঘর সংসার করতে থাকেন । এই সময়ে আমার বাবার ঔরসে আমি জম্ম গ্রহন করি। আমার বয়স যখন ৩/৪ বছর তখন দাম্পত্য কলহে আমার মায়ের সঙ্গে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে । আমার মায়ের বাবার বাড়ি ভারতে হওয়ায় এ অবস্হায় তখন আমার মা দিশেহারা হয়ে আমাকে আমার বাবার বাড়ীতে রেখে ভারতে তার পিত্রালয়ে চলে যান। আমি ছোট্ট শিশু থাকায় প্রচুর কান্না কাটি করতে থাকলে উভয়ের সম্মতিতে আমার বাবা আমাকে ভারতে মায়ের নিকট রেখে আসেন । এরপর আমি আমার মায়ের কাছেই বড় হতে থাকি। পরবর্তীতে একটু বড় হওয়ার পর আমি বাবার বাড়ী ধরন্জীতে চলে আসি এবং সেখানেই স্হায়ী ভাবে বসবাস করতে থাকি । এমতবস্থায় আমার বাবা গত বছরের ৩০ অক্টোবরে মৃত্যু বরণ করলে স্থানীয় ধরঞ্জী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সফিকুল ইসলাম ও গ্রামের গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গরা শালিশি বৈঠকে আমার বাবার সম্পত্তি ওয়ারিশ সুত্রে আমার বৈয়মাত্রিয় দুই ভাই, এক বোন ও সৎ মাকে হিস্যা অনুযায়ী ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। সেই মোতাবেক স্থানীয় আমীন দ্বারা মাপ জোক করে আমার প্রাপ্য জমি থেকে কিছু অংশ আমার দখলে ছেড়ে দেয়। যা গত দেড় বছর যাবৎ আমি ভোগ দখল করে আসছি।
উক্ত জমির পরও আমার ন্যায্য হিস্যা মোতাবেক বাবার নামীয় আরো কিছু জমি প্রাপ্য হলেও শালিশি সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সেগুলো আমার বৈমাত্রিয় বড় ভাই ও বোন জবর দখল করে আত্মসাতের পাঁয়তারা সহ আমাকে ভিটা ছাড়া করার চেস্টা করছে । তারা এই অসৎ উদ্দেশ্যকে সফল করতে আমাকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত আমাকে জামিনে মুক্তি দেন। ইতিপূর্বে একই অভিযোগ তুলে পাঁচবিবি থানা ও জয়পুরহাট র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করলেও আমার জম্ম সনদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ওয়ারিশান সনদ এবং আমার আপন চাচা, ফুফু ভাই সহ গ্রামবাসীর নিকট আমার সম্পর্কে যাচাই করলে সেটি মিথ্যা প্রমান হয়। এর পরও তারা আমার প্রাপ্য সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আশংখা প্রকাশ করে বলেন, তার বৈয়মত্রেয় শরিকরা তাদের হীন উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আবারও কোন মিথ্যা মামলা সহ প্রাণ নাশ করতে পারে। এ অবস্হায় তিনি তার পৈত্রিক জমির ন্যায্য হিস্যা ও জান মালের নিরাপত্তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে সুলতান মাহমুদ সুজনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন-সে আমার ভাই কিনা তার কোন প্রমান পত্র নেই এ কারণে তাকে স্বীকর করিনা। ফলে আমার বাবার সম্পত্তি অংশ তার প্রাপ্য নয় । তবে তার সৎ মা হাজরা বিবি, আপন চাচা গোলাম মোস্তফা আপন ফুপু শেফালী বেগম, ফুফা আব্দুল খারেক সহ প্রতিবেশী করিম, আজাদুল, বাবুল ছাড়াও প্রায় ৩০ জন নারী পুরুষ এক বাক্যে সুমন কে রোস্তমের পুত্র বলে সাক্ষ্য দেন এবং তার প্রাপ্য সম্পত্তির অংশ প্রদানের দাবী জানান।