বোয়ালমারীতে দুইপক্ষের হামলায় দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর “আহত ৪, আটক ৭”

নাজিম বকাউল প্রকাশিত: ২০ মার্চ , ২০২৪ ০৭:০৪ আপডেট: ২০ মার্চ , ২০২৪ ০৭:০৪ এএম
বোয়ালমারীতে দুইপক্ষের হামলায় দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর  “আহত ৪, আটক  ৭”
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সার ও ওষুধের দাম বেশি নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ৭টি দোকানঘরসহ বাড়িঘর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সার ও ওষুধের দাম বেশি নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ৭টি দোকানঘরসহ বাড়িঘর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন ৪ জন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে উভয়পক্ষের ৭ জনকে আটক করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। হামলার পরে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুইপক্ষই থানায় এজাহার জমা দিয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. শহিদুল ইসলাম।  

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের জয়পাশা গ্রামের জলিল কাজীর ছেলে সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী জুয়েল কাজীর (২৮) দোকান থেকে জয়পাশা গ্রামের সৈয়দ নূর আলীর ছেলে সৈয়দ রাকিব আলী (২০) কীটনাশক ক্রয় করার সময় কীটনাশকের দাম ৫০ টাকা বেশি সোমবার (১৮ মার্চ) ইফতারের পর  দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে সৈয়দ রাকিব আলী গ্রুপ ও জুয়েল কাজী গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়। জুয়েল কাজী স্থানীয় প্রভাবশালী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার গ্রুপের সমর্থক এবং সৈয়দ রাকিব আলী স্থানীয় অপর প্রভাবশালী হবিবর  রহমান ওরফে হবি ফকির গ্রুপের সমর্থক। হামলার সময় জয়পাশা বাজারের উভয় গ্রুপের ৭টি দোকানঘর এবং কয়েকটি বসতঘর ভাংচুর করা হয়। ঘটনার সময় জুয়েল কাজী পক্ষের দোকানঘর, বসতঘরের ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক মিটার, আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল ভাংচুর করে বিনষ্টের অভিযোগ রয়েছে সৈয়দ রাকিব আলী পক্ষের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় মারাত্বক আহত জয়পাশা গ্রামের সৈয়দ আশিক (২৩), ফয়সাল কাজী (২২), সৈয়দ সেলিম (৩২) ও সৈয়দ ওলিয়ার রহমান (৫০) বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৭ জনকে আটক করেছে। হামলার পর থেকেই গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ব্যাপারে জুয়েল কাজী গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার  জানান, কেনাকাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের হামলার সূত্রপাত হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিতভাবে বাজারের কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।   

হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার ব্যাপারে সৈয়দ রাকিব আলী পক্ষের নেতৃত্বদানকারী হবিবর রহমান ওরফে হবি ফকির  জানান, হামলার ব্যাপারে মামলা করার কাজে ব্যস্ত আছি। এখন কোনো বক্তব্য দিবো না। সাংবাদিক সম্মেলন করে সবকিছু পরে জানাবো।  

 মঙ্গলবার বিকেলে এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে উভয়পক্ষের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। দুইপক্ষই থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo