নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের উদ্দ্যোগে নিরসন হলো দশটি গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা কৃষি জমির জলাবদ্ধতা।
৯ আগষ্ট সকালে জনগণের সহায়তায় নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেন তারা।Dai উপজেলার তিরাইল, আগ্রান, নূরদহ, আটুয়া, গুড়ুমশোল সহ দশটি মৌজার পানি বর্ষাকালে উপরাঞ্চল থেকে ব্যক্তি মালিকানা আনুমানিক দীর্ঘ পাঁচ শ’ মিটার নীচু জমির উপর দিয়ে নেমে আসতো চিনিডাঙ্গার বিলে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় চার কি.মি দীর্ঘ খননকৃত খাল বেয়ে উক্ত বিলের পানি পতিত হয় চুলকাটি এলাকার পঁচা বড়াল নদীতে। কিন্তু গুড়ুমশোল এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা নীচু জমিতে ৩/৪ বছর আগে কয়েকটি পুকুর খননের পর থেকে বর্ষা মৌসুমে দশটি গ্রামের কৃষি জমিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় কৃষকরা। চলতি বছরেও ঘটে অনুরুপ জলাবদ্ধতা। এতে প্রায় এক হাজার বিঘা কৃষি জমির দন্ডায়মান বিভিন্ন জাতের ধান অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানির নীচে তলিয়ে যায়। পাট কর্তনে অসুবিধার সৃষ্টি হয় কৃষকদের।
জলাবদ্ধতায় ইরি ধান রোপনে বিঘ্ন ঘটে। এ অবস্থা নিরসনের জন্য এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত বৃহষ্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা পর জাহাঙ্গীর আলম নামের এক কৃষকের পুকুরের এক পাশে কেটে দেওয়া হয়। এতে বৃহষ্পতিবার থেকে আবদ্ধ পানি গড়িয়ে উক্ত খালটিতে পতিত হয়ে নিরসন হয়েছে এক হাজার বিঘা জমির জলাবদ্দতা।
উল্লেখ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে গুড়ুমশোল থেকে চুলকাটি পর্যন্ত এ খালটি দিয়েই চিনিডাঙ্গা, লক্ষীচামারী, বিলদোবিলা, চুলকাটি বিলের পানি গড়িয়ে পঁচা বড়াল নদীতে পড়ে। উপজেলার নূরদহ গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন, মখলেসুর রহমান জানিয়েছেন, স্থায়ীভাবে এ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য গুড়ুমশোল এলাকার নিম্নাঞ্চল বরাবর প্রায় ৫শ’ মিটার খাল খনন অতি প্রয়োজন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসকে সহযোগিতা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.আশরাফুল ইসলাম,উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্ত আব্দুর রাজ্জাক সহ এলাকার সাধারণ জনগণ।