ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ফুকুরহাটি গ্রামের চতল বিলের মধ্যে অজ্ঞাত এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে লাশ দেখে পুলিশকে দেয় এবং পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের মাথা বিচ্ছিন্ন ও শরীরের বেশীরভাগ মাংস পচে গলে হাড়ঁ বেরিয়ে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে কোন দূস্কৃতিকারীরা ১৫/২০ দিন পূর্বে ওই নারীকে হত্যা করে মরদেহটি সেখানে ফেলে রাখে ।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য চতল বিলটি দুর্গম এলাকা হওয়াতে সেখানে জনমানুষের বিচরণকম।
বিলের মধ্যে খানে ১২ মাসই নিচু জমিতে পানিতে থাকে এবং এলাকার লোকজন মাছ ধরে । একজন গ্রামবাসী বিলের মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , পুরো বিলের পাট ক্ষেত। সালোয়ার পরিহিত ও গলিত লাশটি পাট ক্ষেতের পাশে কাশবনে পড়ে রয়েছে । এর মাথা বিচ্ছিন্ন দুরে চুল পড়ে কঙ্কাল বেরিয়ে গেছে। পায়ের দিকের মাংস নেই। ধারনা করা হচ্ছে, বেশ কয়েকদিন পূর্বে কোন দুষ্কৃতকারী ওই নারীকে হত্যা করে ফেলে চলে গেছে ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এস,আই অমীয়বানী জানান, আমি থানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী, সাংবাদিকেরা এবং পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে আসেন । চারপাশে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হবে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মামুন আল রশিদ জানান, ভাঙ্গা থানায় গত এক মাসের মধ্যে কোন মহিলা নিখোঁজ হয়েছে এ সংক্রান্ত কোন জিডি বা অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে কোন অপরাধী দুর থেকে মহিলাকে এনে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে গেছে । এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে এএসপি ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহান শাহ জানান , চতল বিলের মধ্যে থেকে এক মহিলার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে আমি ও ভাঙ্গা থানার ওসি, সিআইডি এবং পিবিআই সবাই ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়েছি। লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।