মহিলা পরিষদ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক সানা মুস্তারীর ১৫তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে শুক্রবার নিজস্ব কার্যালয়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি আফরোজা শিরিন।
আলোচনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যহাবিবা শেফা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আফরোজা বেগম, সহ-সাধারন সম্পাদক সুলতানা রহমান জলি, টিইউসির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মজনু, অ্যাডভোকেট আয়নাল হোসেন,সিপিবি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, উদীচী জেলা কমিটির সদস্য সমেষ মুখার্জি, জেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা কমিটির সভাপতি দীপংকর দাস রতন, উলাসী সৃজনী সংঘের নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হক মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, আহ্ধসঢ়;সানা মুস্তারীর ভাগ্নে কাজী খালেদ, বিবর্তনের সভাপতি নওরোজ আলম খান চপল, অধ্যাপক কাজী শওকত শাহী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন আহসানা মুস্তারী শুধু একটি নাম নয়,একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। যশোরের সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। তার পরিবার যশোরের প্রগতিশীল মানুষের বাতিঘর। রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে তার অবদানের পাশাপাশি নারী উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রযাত্রায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। বক্তারা ডাক্তার কাজী রবিউল হক এর জীবনী নিয়েও আলোচনা করেন। কমিউনিস্ট পার্টির নিদের্শে ডাঃ কাজী রবিউল হক যশোর এসেছিলেন। যশোর এসে যশোরের হাল ধরেন। মানুষের কল্যানে তিনি সর্বদা চিন্তা করতেন। সিবিবির যত সভা হতো সেসব সভা ডাক্তার কাজী রবিউল হকের বাড়ীতে হতো। এই দুই মহান ব্যক্তিত্ব যশোরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।অন্যদিকে শিখা ঘোষাল ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরাজেলা কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি যশোর মহিলা পরিষদের অফিসে নিয়মিত আসতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি যশোর মহিলা পরিষদের জন্য কাজ করে গেছেন। নারী অধিকার আদায়ে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক আহসানা মুস্তারী, অপর দুই নেত্রী সাতক্ষীরা জেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক প্রয়াত তৃষ্ণা চক্রবর্তী ও যশোর জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য’র মা ‘শিখা ঘোষালের ১০তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান এবং সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।যশোর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বেবী সেন কে “আহসানা মুস্তারী স্মারক” ও পাড়া কমিটির সদস্য মিতা রানী দেবনাথ কে একটি “সেলাই মেশিন” প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক উম্মে মাকসুদা মাসু ও লিগ্যালএইড সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার কনা।