গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের সামনের রোড দিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ হাসান।
এসময় তার মাথায় ভবনটির পাইলিংয়ের রড ভেঙে পড়লে গুরুতর আহত হন তিনি। দ্রুতই তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তাররা হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হাসান পেশায় বায়ো ফার্মাসিউটিক্যালসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
ঠিকাদারের অবহেলা, বাড়ির মালিকের সচেতনতার অভাবে ঘটা এই দুর্ঘটনার ফলে একটি পরিবার মুহূর্তেই অসহায় হয়ে পড়েছে। হাসান চট্টগ্রাম আনোয়ারা থানার জুইদন্ডি গ্রামের ফজল আহমেদের ছেলে। বর্তমানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় একটি বাসায় থাকত। হাসানের মা, স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ছোট ছেলে ক্লাস টেনে পড়ে। আর মেয়ে পড়ে চতুর্থ শ্রেণীতে।
এদিকে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রাজউক জানায়, ভবনটির নকশার অনুমোদন ছিল না। বারবার নোটিশ পাঠানোর পরও কাজ বন্ধ করা হয়নি। শুধু ওই ভবনই না, পুরো সাত মসজিদ হাউজিং এর ই অনুমোদন নেই।