মাথা কেটে অন্যের নামে মামলা করতে গিয়ে নিজেরাই ফেসে গেলেন

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর , ২০২৩ ১১:২৬ আপডেট: ২৫ অক্টোবর , ২০২৩ ১১:২৬ এএম
মাথা কেটে অন্যের নামে মামলা করতে গিয়ে নিজেরাই ফেসে গেলেন
মাদারীপুরে মাথা কেটে অন্যের নামে মামলা করতে গিয়ে নিজেরাই ফেসে যায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকায়। বুধবার (২৫ অক্টোবর) মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাদারীপুরে মাথা কেটে অন্যের নামে মামলা করতে গিয়ে নিজেরাই ফেসে যায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকায়। বুধবার (২৫ অক্টোবর) মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি এলাকায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় শহিদ মোল্লার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেন পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু বখাটেরা। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে গত দুই দিনে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহিদ মোল্লার ভাগনে শান্তিনগর এলাকার।

চান্দু হাজির ছেলে অহিদ শহিদ মোল্লার পক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দুপক্ষের দ্বন্দ্বে অহিদ গ্রুপের আকাশ নামে এক কিশোর সামান্য আহত হয়েছিল। পরে সোমবার রাতে রাস্তি এলাকার হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে শান্তিনগর এলাকার সিরাজ বেপারীর ছেলে আকাশকে নিজেরাই মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তি করেন চান্দু হাজী ও তার ছেলে অহিদ। পরবর্তীতে আকাশের অভিভাবকরা জানতে পারে অহিদসহ কয়েকজন ডাক্তার দিয়ে আকাশের মাথা কেটে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ভর্তি করে পরে হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে মামল দিতে আকাশের মাকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে উলটো অহিদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী কিশোর আকাশ জানান, আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে ক্লাবে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক্তার ডেকে অবশ করার ইনজেকশন দিয়ে আমাকে অবশ করে আমার মাথা কেটে এরপর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ভুক্তভোগী কিশোর আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম বলেন, যারা মামলা দেয়াড় জন্য আমার ছেলের মাথা কাটতে পারে তারা তো আমার ছেলেকে হত্যা করেও মামলা দিতে পারে। তাই আমি উল্টো ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

অভিযুক্ত অহিদ বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। এটি ষড়যন্ত্র মূলক ও মিথ্যা। হাকিম বেপারী বলেন, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না তবুও আমাকে ফাঁসাতে গিয়ে একটি ছেলের মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সত্য উদঘাটিত হলে এখন উল্টো ওদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo